ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

৪৪ গাছের ডাক নিয়ে সাবাড় শতাধিক!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৪
৪৪ গাছের ডাক নিয়ে সাবাড় শতাধিক!

রাজশাহী: আওয়ামী লীগের চার নেতা-কর্মী উন্মুক্তভাবে ডাক নিয়েছিলেন ৪৪টি গাছ। কিন্তু কেটেছেন তিন শতাধিক।

তাদের সহযোগিতা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

এ অভিযোগ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ চার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

তবে অতিরিক্ত কিছু গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাতাবুর রহমান মাতু তার এলাকার হাটগাঙ্গোপাড়া থেকে খালগ্রাম এবং কামারপাড়া সড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য কয়েকটি গাছ কাটা প্রয়োজন বলে পরিষদের মাসিক সভায় জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় সড়কের ৪৪টি গাছ চিহ্নিত করে তা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত ১২ নভেম্বর উম্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৪৪টি গাছ বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেন।

ওইদিন তার উপস্থিতিতে উম্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৯১ হাজার টাকায় আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও সদস্য আফসার আলী গাছগুলো কিনে নেন।

গত শনিবার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, আফসার আলী, কর্মী পলাশ ও আফজাল হোসেন লোকজন নিয়ে গাছ কাটা শুরু করেন। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি গাছ কাটা হয়।

এর মধ্যে তিন শতাধিক বাবলা, কড়ই, মেহগনিসহ কয়েকটি জাতের গাছ কাটার নমুনা দেখা গেছে। বর্তমানে সড়কের পাশে কাটা গাছের ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা শহিদুল ইসলাম ও আফসার আলী তাদের লোকজন নিয়ে তিন শতাধিক গাছ কেটে সাবাড় করেছেন।

তবে আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাতাবুর রহমান মাতু নিজে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও আফসার কেটেছেন, তারা তার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তাই রাস্তায় উপস্থিত থেকে তাদের গাছ কাটতে সহযোগিতা করেছেন। তবে ঠিকাদাররা অতিরিক্ত কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান মাহাতাবুর রহমান।

এদিকে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি শুধু টেন্ডারের মাধ্যমে পাওয়া বাবলা গাছ কেটেছেন, অন্য গাছ অন্য আরেক নেতা কেটেছেন।

তবে রাজশাহীর বাগামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে জানিয়েছেন, আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে গাছের বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেন নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।