জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগান নিয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রজাপতি মেলা-২০১৪।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চলচ্চিত্র পরিচালক ক্যাথরিন মাসুদ।
মেলার উদ্বোধন শেষে উপাচার্য ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পাশে ‘বাটারফ্লাই রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড পার্ক’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
অধ্যাপক মনোয়ার জানান, প্রজাপতি মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি প্রদর্শন করা হবে। দিনব্যাপী এ মেলায় রয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি আদলের ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
মেলা উপলক্ষে দৃষ্টিনন্দন এ পতঙ্গটির বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিমভাবে প্রজনন ঘটিয়ে ক্যম্পাসে অবমুক্ত করা হচ্ছে। যা ক্যম্পাসের সৌন্দর্য আরও বাড়াবে।
১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম গবেষণা শুরু করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন। তার দীর্ঘ গবেষণায় ক্যাম্পাসে ১১৫ প্রজাতির প্রজাপতি শনাক্ত করেন। তিনি প্রজাপতি সংরক্ষণ ও প্রজননে জন্য ‘বাটারফ্লাই রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড পার্ক’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন।
আগামী ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পাশে ‘বাটারফ্লাই রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড পার্ক’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রজাপতি সংরক্ষণে এ পার্কে থাকবে প্রজাপতির ‘কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র’।
প্রজাপতির নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান মিললেও দেশে প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বনভূমি কমে যাওয়ায় প্রকৃতির এই অলঙ্কারটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রজাপতির ভূমিকা তুলে ধরে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
মেলার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ‘কিউট’ ও সহযোগিতা করছে আইইউসিএন এবং ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪