লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে একটি ‘বাঘের বাচ্চা’কে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ছয় জনকে আক্রমণ করে আহত করলে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা এ ঘটনা ঘটায়।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশহর গ্রামের লোকজন বাঘের বাচ্চাটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বাঘের বাচ্চাটির হামলায় আহতরা হলেন- মহিষাশহর গ্রামের মন্টু মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫), একই গ্রামের স্কুল শিক্ষক অমূল্য চন্দ্র রায় (৪০), কমল চন্দ্র (৩০), শ্যামল চন্দ্র (৩৫), তার ভাই বিমল চন্দ্র (৩৮), পাশ্ববর্তি বড়াইবাড়ি গ্রামের সুমন (১৪) ও নলীনি মোহন (৪০)। আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২৪ নভেম্বর সকালে প্রথমে শ্যামল, তার ভাই বিমলকে মুখে ও পেটে থাবা মেরে জখম করে বাঘের বাচ্চাটি। পরদিন খাদিজা বেগম নামে এক নারীকেও থাবা মেরে মাথায় আঘাত করে। এভাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছয় জনকে জখম করে এ বাঘের বাচ্চাটি।
এতে পুরো গ্রামে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত হলেই মানুষ লাঠি ছাড়া বাহিরে বের হতো না। শনিবার সকালে ওই গ্রামের দুলালের বাড়িতে আক্রমণ করে বাঘের বাচ্চাটি। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে বাঘের বাচ্চাটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বাঘ মেরে ফেলার খবরে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করে। পরে, মহিষাশহর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘের বাচ্চার মৃতদেহটি ঝুলে রাখা হয়।
বাঘের বাচ্চাটিকে দেখতে আসা কেউ কেউ বনবিড়াল বললেও স্থানীয়রা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি বনবিড়াল হলে মানুষ দেখে ভয়ে পালিয়ে যেত। কিন্তু এটি দিন কি রাত মানুষ দেখলেই তার ঝাপিয়ে পড়ে বাঘের মতোই আক্রমণ করে। তাদের মতে ক্ষুধার্ত বাঘের বাচ্চাটি খাদ্যের সন্ধানে ভারত থেকে আসতে পারে।
স্থানীয় আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বন বিভাগের রংপুর রেঞ্জকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে বোঝা যাবে এটি বাঘ না বনবিড়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪