ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

নিমপেঁচা অন্ধকারে গাবে তার গান

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্পেশালিস্ট এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪
নিমপেঁচা অন্ধকারে গাবে তার গান ছবি: সংগৃহীত

শ্রীমঙ্গল: কুয়াশায় ঝরে পড়া রূপসালি ধানের সাথে হয়তো নিমপেঁচাও অন্ধকারে তার গান গেয়ে উঠবে/ বাঁকা চাঁদ, শূন্য মাঠ, শিশিরের ঘ্রাণ – রূপসী বাংলার এ সবই পূর্ণতা পাবে নিমপেঁচার কণ্ঠে/ ‘তোমার বুকের থেকে’ কবিতায় জীবনানন্দ দাশ চমৎকারভাবে নিমপেঁচাকে স্থান দিয়েছেন।

বাংলার পাখিদের নিয়ে দারুণ আগ্রহী ছিলেন রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ।

তার রচিত অনেক কবিতায় বাংলার এসব পাখিরা উঁকি দিয়েছে। নিজের মতো করেই তারা জানান দিচ্ছে আমাদের প্রকৃতিতে তাদের প্রয়োজনীয়তা ও সহাবস্থান।
 
‘নিম’ ‘নিম’ ‘নিম’ – দূর থেকে শুনলে মনে হয় এভাবেই সে ডেকে চলেছে। কানে ‌‌‘নিম’ শব্দটি কিছুটা স্পষ্টভাবে আঘাত হানে বলে এ পাখির নামটিও তাই নিমপেঁচা। তবে ‘নিম-পোখ’ কিংবা ‘কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা’ নামেও তার পরিচিতি রয়েছে। এর ইংরেজি নাম Collared Scops Owl এবং বৈজ্ঞানিক নাম Otus bakkamoena।

নিমপেঁচার দৈর্ঘ্য ২৫ সেমি এবং ওজন ১৭০ গ্রাম। এদের মাথায় দু’টি কান-ঝুঁটি রয়েছে। মাথা ও চোখের চাক্কিটিও বড়। পিঠের গাঢ় বাদামির উপর সাদাটে ও লালচে-বাদামি দাগ ও রেখা। ঠোঁট ছোট। তবে ঠোঁটের রং দু’ধরনের। উপরের অংশ সবুজাভ, গোড়ার দিক ফিকে ও সামনের দিক কালো। নিচের ঠোঁট হলুদ ও কালো। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা একই।

নিমপেঁচা সুলভ আবাসিক পাখি। প্রজনন মৌসুমে গাছের কোটরে বা কাঠঠোকরাসহ অন্যান্য পাখিদের পরিত্যক্ত বাসায় সাদা বর্ণের ২-৩টি করে ডিম পড়ে। এরা পুরোপুরি নিশাচর। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে গুবরে পোকা, টিকটিকি, ইঁদুর, ছোট পাখি, ফড়িং প্রভৃতি। তবে এদের দেখা যায় খুব কম। কিন্তু ডাক শোনা যায় বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।