ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শান্তনার অজগর

শফিক ছোটন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫
শান্তনার অজগর ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নওগাঁ: বেদে পরিবারের মেয়ে শান্তনা (২২)। নাটোর জেলার শিংড়া উপজেলার মান্তাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা তিনি।

সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন একটি অজগর। অরণ্যের অজগর বড় হচ্ছে শান্তনার কাছেই।  
 
অজগর সাধারণত কোনো বস্তুকে আহারের সময় পেঁচিয়ে ধরে শক্তি প্রয়োগ করে। তার আহারের তালিকায় মানুষের নামও রয়েছে। অথচ সেই ভয়ঙ্কর সাপকেই শরীরে পেঁচিয়ে রাখেন শান্তনা।  
 
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেখা পাওয়া যায় শান্তনার। শরীরে অজগর পেঁচিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় উৎসুক জনতা তাকে ঘিরে ভিড় করতে থাকেন।  
 
এ সময় শান্তনা জানান, বছর দুয়েক হলো অজগরটিকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। এখন সেটি শরীরে পেঁচিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তার সহযোগী হিসেবে থাকেন প্রতিবেশী ঠাণ্ডু নামে এক যুবক। এখন মূলত পেটে ভাতের জোগাড় করতেই তারা সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন স্থানে।

শান্তনা আরো জানান, ২০১৩ সালের দিকে বাড়ির পাশে নাগর নদীর পাড়ে একটি ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে বাচ্চা অজগরটি পান তিনি। সে সময় সাপটি ছিল দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা ও ওজনে ছিল এক থেকে দেড় কেজি। এখন সেটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ২০ কেজি। লম্বায় প্রায় সাড়ে ৬ ফুট।
 
শান্তনা অজগরটিকে শরীরে পেঁচিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ান লোকালয়ে। হিংস্র প্রাণি হলেও তার কাছে নতজানু অজগরটি। শরীরে পেঁচিয়ে লোকজনের মাঝে প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় ৫/১০ টাকা চেয়ে নেন ঠাণ্ডু।  
 
তিনি জানান, বেদে পরিবারের মেয়ে তাই সাপ নিয়েই তাদের খেলা। সাপ ছাড়া তারা যেন অসহায়। রাতে অজগরটিকে খাবার দিতে হয়। খাবারের তালিকায় থাকে মুরগী। রাতে সাপটিকে খাঁচায় আটকে রাখেন। খাঁচাটিও সঙ্গে রাখেন শান্তনা।  
 
জীবন চালানোর তাগিদ থেকেই অজগরটি যতদিন বাঁচবে ততোদিন কাছে রাখবেন বলে জানান শান্তনা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।