ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ দ্রুত সম্পন্নের দাবি

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৫
হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ দ্রুত সম্পন্নের দাবি

ঢাকা: হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংহতি ও হাওর ফোরাম নামে দুই সংগঠন।  

বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) সকালে জাতীয়  প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।



নাগরিক সংহতি ও হাওর ফোরাম যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাওর ফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার।

তিনি বলেন, হাওরের সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে, কারণ হাওরের সমস্যার পাশাপাশি অপুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান মোস্তফা জব্বার।

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও হাওর ফোরামের অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার বলেন, হাওয়ার অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের বাঁধের বিষয়টি জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, এবিএম আনিসুজ্জামান, এটিএম জাহাঙ্গীর, রোকনুদ্দিন পাঠান, ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিল্টন তালুকদার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়ার সময়সীমা থাকলেও এখনও অর্ধেক বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু এখন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। যা কৃষকদের দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বোরো ধানের ওপরে অনেকটা  নির্ভর করতে হয়। আর উৎপাদিত বোরো ধানের ৫ ভাগের ১ভাগ আসে হাওর এলাকা থেকে। সময় মতো বাঁধ নির্মাণ না হলে হাওরের প্রান্তিক মানুষ চরম বিপাকে পড়তে হবে,’—যোগ করেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে হাওরের বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে না।

সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অবিলম্বে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান সমাবেশের বক্তারা।

২০০১ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পাঁচবার বন্যায় হাওরাঞ্চলের জমি তলিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। ওই সময়গুলোতে ফসলও ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।