ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কুকরী-মুকরীতে পাখি দেখার সুব্যবস্থা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
কুকরী-মুকরীতে পাখি দেখার সুব্যবস্থা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: পাখিদের কিচির-মিচির ডাক, বিল-জলে শালুক-কচুরিপানায় বিচরণ, দল বেঁধে ওড়া, খাদ্য গ্রহণ- কার না দেখতে ভালো লাগে। যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকের কাছে এটি একটি মনোলোভা দৃশ্য।

আর এই দলে যদি থাকে নানান প্রজাতির পরিযায়ী পাখি, তবে তো কথাই নেই।

এতদিন শীত মৌসুমে বাইক্কা বিল, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওরসহ গুটিকয়েক অঞ্চলে দেশি ও পরিযায়ী পাখির মেলা দেখার সুব্যবস্থা ছিলো। এবার এতে যোগ হলো ভোলার কুকরী-মুকরী।

পর্যটকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলা এলাকায় নির্মিত হয়েছে পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকেই এখন দেখা যাবে সব পরিযায়ী পাখি।
 
দেশি-বিদেশি পাখি দেখার জন্য বন বিভাগ প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক এ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
 
শীত মৌসুমে এ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পর্যটকরা দেশি ও বিদেশি পরিযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বিচরণ দেখতে পাবেন- এমনটাই জানিয়েছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের সূত্র জানায়, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলা এলাকায় পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। সেখানে পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু ছাতা, বসার বেঞ্চ ও একটি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় বিট কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নিয়োগ দেওয়া হেয়েছে দু’জন বন প্রহরী। তারা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটির রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, শীত মৌসুমে ভোলায় বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিচরণ করে কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে। তাই পর্যবেক্ষকরা খুব কাছে থেকে যাতে পাখি দেখতে পারেন সে জন্য পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

দিনি আরও বলেন, তাছাড়া কুকরী-মুকরী ইউনিয়নকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সৌন্দর্য বাড়াতে নানা প্রজাতির গাছও লাগানো হয়েছে।

এদিকে, পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্যদিয়ে ভোলার সাগর উপকূলের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কুকরী-মুকরীতে আরও বেশি পর্যটকদের সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

একই সঙ্গে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কুকরী-মুকরীর উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
এসএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।