ঢাকা: ভারতে গত সাত মাসে ৪১টি বাঘের প্রাণহানি হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টের ৯ তারিখ পর্যন্ত এই প্রাণহানি ঘটে।
ওয়াইল্ডলাইফ ট্রেড মনিটরিং নেটওয়ার্কয়ের অধীনে দেশটির ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন কর্তৃপক্ষ এক গবেষণা জরিপে এ তথ্য জানায়।
বুধবার ( ১২ আগস্ট) সকালে ওই জরিপের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করে।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঘগুলোর শুধু প্রাকৃতিক কারণে প্রাণহানি হচ্ছে না। মানুষের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার ক্ষেত্রে বাঘগুলোকে গুলি করে, ফাঁদে ফেলে এমনকি বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করেও মারা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে মানুষকে বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বাঘকে গুলি করেও মারছে।
বেশির ভাগ বাঘের প্রাণহানি হচ্ছে দেশটির কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও তামিল নাডু রাজ্যের বনাঞ্চলে।
এদিকে, সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব’ শীর্ষক বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন সর্বসাকুল্যে ১০৬টি।
চোরা শিকারিদের বাঘ শিকার, বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ করায় বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়। সারা বিশ্বেই বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাঘের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানুষকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
টিআই