উটপাখি আকারে যেমন দৈত্যাকায়, তেমনি তার কাণ্ডকারখানাও দক্ষযজ্ঞই বটে। এরা বিশালাকায়, পক্ষীকূলে দৈত্যরূপে বিরাজ করে এরা।
এই মাস্তান উটপাখিটা কী করেছিল সেটা বলে নেওয়া যাক আগে। ও খুব বদরাগী। রাস্তায় নেমে পথচারীদের উপর হামলে পড়ার বদভ্যাস ওর। যারে সামনে পায় তার পেছনেই লাগে। এই রকম মাস্তানি উটপাখিটা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছিল। এসব করতে করতে ওর সাহস গেল বেড়ে। এবার সে মোটর বাইক বা মোটরগাড়িকেও শুরু করলো ধাওয়া করা। রাস্তাঘাটে মানুষ বলুন, গাড়ি বলুন কাউকেই ও রেহাই দিচ্ছিল না। এ নিয়ে আক্রান্তরা বারবার পুলিশের কাছে নালিশ করে যাচ্ছিল। কিন্তু যারা ওই এলাকার বাসিন্দা তারা ওর পক্ষ নিচ্ছিল নানা বাহানায়। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। পুলিশ শেষমেষ ওকে পাকড়াও করলো। তবে তা এতো সহজে ছিল না। রীতিমতো দু’দিক থেকে রাস্তা বন্ধ করে পেট্রল কার নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওকে আটক করা হয়েছে। আপাতত শ্রীঘরে না দিয়ে ওকে রাখা হয়েছে একটা পক্ষী-আলয়ে।
বদরাগী এই উটপাখিটার নাম জিম্মি। লোকজনকে অহেতুক জিম্মি বানানোর বদভ্যাসের কারণেই ওর এই নাম হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। জিম্মি আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন এমন একজনের নাম টেড স্পিলার। ভদ্রলোকের ভাষায় জিম্মি যখন তাকে আক্রমণ করলো তখন মনে হচ্ছিল কোনো টি-রেক্স (ডাইনোসর) যেন তার উপরে হামলে পড়েছে –‘...stalking him “like T-Rex.’
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
জেএম