শৈত্য প্রবাহের সঙ্গে শীতল বাতাসও বইছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপলগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সীতাকুন্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরে মৃদু থেকে মাঝারি আকারে শৈত্য প্রবাহ চলছে।
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শৈত্য প্রবাহ কিছু দিন অব্যাহত থাকবে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। যে কারণে পুরো দেশব্যাপী চলছে শৈত্য প্রবাহ।
সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
রংপুরের রাজারহাটে এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা মাত্র ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগে কম তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালের ভোলায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতেও চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। এখানে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। সিলেটের শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে দেশের তাপমাত্রা বেশি চট্টগ্রামের হাতিয়া, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া এবং টেকনাফ। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
অন্যদিকে ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, চট্টগ্রামের কিছু এলাকা বাদে পুরো দেশের তাপমাত্রা কমে গেছে। পুরো দেশব্যাপীই চলছে শৈত্য প্রবাহ। এ শৈত্য প্রবাহের প্রভাব সারাদেশে ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ