শনিবার (২০ জানুয়ারি) কে বা কারা লক্ষ্মী পেঁচার মাথায় ঢিল মারলে পাখিটি মারা যায়।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কিশোরদের হাতে ধরা পড়া পেঁচাটিকে অবুমুক্ত করেন এলাকার পাখি প্রেমী সৈয়দ মো. রাসেল।
এ বিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে জানান, কিশোরদের হাত থেকে রক্ষা করে পাখিটিকে অবমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া পাখিটি হয়তো বেশিদূর উড়ে যেতে পারেনি। চঞ্চল কিশোরেরা হয়তো পরদিন পাখিটিকে দেখতে পেয়ে পুনরায় তাড়া করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ঢিলের আঘাতেই হয়তো পাখিটি মারা গেছে। তবে কে বা কারা মেরেছে তা জানা যায় নি বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সুতাং বাজারের পার্শ্ববর্তী একজন পেঁচাটিকে রাস্তার পাশে ছটফট করতে দেখে তাকে খবর দেয়। পরে তিনি গিয়ে দেখতে পান প্রকৃতির শোভা লক্ষ্মী পেঁচাটি আর বেঁচে নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নাজমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সাদা বর্ণের অত্যন্ত সুন্দর লক্ষ্মী পেঁচাগুলো অনেক আগে প্রকৃতিতে দেখা গেলেও এখন বিলুপ্তির পথে। তবে এই পেঁচাটিকে মেরা ফেলা উচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে সুতাং বাজার এলাকার কিশোর কঞ্চন ও তার বন্ধুরা একটি লক্ষ্মী পেঁচাকে আটক করে। বিকেলে পাখি প্রেমী সৈয়দ রাসেল তাদেরকে বুঝিয়ে পাখিটিকে অবমুক্ত করেন।
** হবিগঞ্জে লক্ষ্মীপেঁচা অবমুক্ত
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১,২০১৮
এসজে/এসআরএস