রোববার (২৮ জানুয়ারি) লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বাগমারা ক্যাম্প এলাকায় দেখা যায়, এখানে বসবাসকারী খাসিয়ারা পান চাষের জন্য প্রাকৃতিক লতাগুল্ম এবং নানা প্রকারের গাছগাছালি উপড়ে ফেলেছেন। এছাড়াও মাঝারি গাছগুলোর ডালপালা ছাটাই করে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, কিছু কিছু গাছ মেরে ফেলতে নির্মম কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এসব গাছের গুড়িতে দিনের পর দিন বিষাক্ত কীটনাশক ঢেলে হত্যা করা হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্র জানায়, সংরক্ষিত বনের দু’টি অংশ থাকে। একটি ‘কোর জোন’ অর্থাৎ প্রাকৃতিক বনের সংরক্ষিত পরিবেশ। এখানে কোনো প্রকার গাছ-লতাপাতা কাটা অথবা প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয় এমন কিছুই করা যাবে না। অপরটি ‘বাফার জোন’ অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিক বনের বাইরের অংশ। এখানে মূলত বিভিন্ন মেয়াদের বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
কিন্তু ওই অঞ্চলে বসবাসকারী খাসিয়ারা তাদের বাণিজ্যিক চাষের জন্য জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ ধ্বংস করে পান চাষের জায়গা সম্প্রসারণ করে চলেছেন। আর এসব চলছে ‘কোর জোনে’।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএলও) মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খাসিয়াদের বারবার বলেছি, লাউয়াছড়ার জায়গায় পান চাষ করা কোনোমতেই উচিত নয়। কিন্তু তারা যেহেতু আগে থেকেই ওই এলাকায় পান চাষ করে আসছেন, তাই এটা পুরোপুরি বন্ধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু কিছু জায়গায় তাদের আমরা চাষাবাদ করতে বলেছি।
লাউয়াছড়ার নতুন করে কোনো জায়গা যদি তারা চাষাবাদ সম্প্রসারণের চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে বলে জানান ডিএফও মিহির কুমার দো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
বিবিবি/এসএইচ/এনএইচটি