সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কালাম ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন দীঘির উত্তর পাড়ে মাটি খুঁড়ে ডিম পেড়েছে মা কুমিরটি। ডিম পাড়ার পর এখন বাচ্চা ফুটানোর জন্য ‘তা’দিচ্ছে।
মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বাংলানিউজকে জানান, গত বছরও প্রায় ৬৫টি ডিম দিয়েছিল এ কুমিরটি। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টা করেও বাচ্চা ফুটাতে সক্ষম হননি। এবারো কয়েকদিন আগে দীঘির উত্তর পাড়ে গর্ত খুঁড়ে আনুমানিক ৬০ থেকে ৬২টি ডিম দিয়েছে কুমিরটি।
এ দীঘির ঐতিহ্য মিঠা পানির কুমির ধরে রাখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে যাতে এবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে তার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
তিনি আরো বলেন, খানজাহান আলী এ দীঘিতে কালাপাড় ও ধলাপাড় নামে দু’টি কুমির লালন-পালন করতেন। ওই জুটির বংশধর এখন আর বেঁচে নেই। ভারত সরকারের দেওয়া মিঠা পানির কুমির এখন দীঘির শেষ সম্বল। কয়েক বছর ধরে এ দীঘির মা কুমির ডিম পাড়লেও তাতে বাচ্চা ফুটছে না। কুমিরের বংশ বৃদ্ধি না হলে দীঘিটি তার সাড়ে ৬০০ বছরের ঐতিহ্য হারাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাগেরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, মিঠা পানির কুমিরের প্রজনন ও ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য আমাদের কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। আমরা একবার চেষ্টা করেছিলাম, তখন কোনো সফলতা পাইনি। আশা করি ভবিষ্যতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পুনরায় ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর চেষ্টা করা হবে।
জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, মিঠা পানির কুমির খানজাহান আলী দীঘির ঐতিহ্য। কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য কয়েক বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। যাতে দীঘির ঐতিহ্য মিটা পানির কুমিরের বংশ রক্ষা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
আরবি/