মার্চ মাসে দুর্যোগ মৌসুম শুরু হলে সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন কমে যায়। আর ঠিক এ সময়টিই ফুল ফোটার মৌসুম।
এ সময়টিতে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়া সুন্দরবনে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় মৌমাছির। এক ফুল থেকে আরেক ফুলের মধু সংগ্রহ করে সঞ্চয় করতে থাকে তারা।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, ফুল ফুটেছে সারি সারি কেওড়া গাছে। একইভাবে ফুল ফোটায় কাঁটাযুক্ত হরকোচাও যেন ভিন্নরূপ ধারণ করেছে। বৈচিত্র্যময় রূপের অধিকারী খলিসার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছি। আর তার সঙ্গে নতুন গজানো পাতা ও বাহারি শ্বাসমূলের সমাহারে নতুন রূপ ধারণ করেছে সুন্দরবন।
অন্যান্য সময় পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকলেও এখন (এপ্রিলের শেষ-মে মাসের শুরু) প্রায় শূন্যের কোটায় পর্যটক সংখ্যা। মাঝে মধ্যে দু’একটি বোট কলাগাছিয়ায় গেলেও তাতে পর্যটক সংখ্যা কম।
কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে ভ্রমণে আসা পর্যটক এসএম নাহিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, আগে কয়েকবার এখানে এসেছি। কিন্তু এবার নতুন সুন্দরবন আবিষ্কার করলাম। গাছে গাছে ফুল। পাখ-পাখালিতে ভরপুর। সুউচ্চ গাছগুলোতে বসছে মদন টাকের দলও। কিন্তু পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনের এ রূপ দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
এসআই