রোববার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী টঙ্গী এলাকায় তুরাগ নদীর রেলওয়ে ও সড়ক সেতুর নিচে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ, নদীর পানি দূষণরোধ ও পানি প্রবাহে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করা সংক্রান্ত বৈঠকে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী টঙ্গী এলাকায় তুরাগ নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে ড্রেনের মুখে (নদীর তীর অংশে) বিআইডব্লিউটিএ নির্মিত নেটের ভিতরের পলিথিন বর্জ্য পরিষ্কার এবং ড্রেনগুলো ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে নদী তীরের ড্রেনের মুখে নির্মিত নেটের প্রটেকশনের ব্যবস্থাকে স্বাগত জানান। তিনি নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে নদীতে ময়লা ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে টঙ্গী এলাকায় নতুন রেলওয়ে সেতু ও সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে মাটি তুলে মাটির স্তূপ দ্রুত সরানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাজারে পলিথিনের ব্যবহার ও বাজারজাত রোধ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি পরিস্কারের জন্য যন্ত্রপাতি চালু রাখার বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছিল; সেটি অব্যাহত রাখতে হবে। নদী তীরের সীমানা পিলার এখন দৃশ্যমান। নদী তীর রক্ষা, দখল ও দূষণরোধে প্রকল্পের কাজ চলছে।
‘নদীর পানি দূষণরোধে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ময়লা পানি পরিষ্কারের জন্য (দূষিত পানি ফিল্টারিং করা) পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এর কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। নদীর পানি দূষণ রোধে ও দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একসঙ্গে এবং এক ছাতার নিচে কাজ করবো।
বৈঠকে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, পরিবেশ অধিদফতরের ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এমআইএইচ/এএ