সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের অনেকেই এমন কথা বলছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কথা বলেছেন।
একথা সত্য যে, শীত প্রধান দেশ অথবা ঠাণ্ডাপ্রবণ এলাকাগুলোতে এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর হার বেশি। ইতালি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইরান তার উদাহরণ হতে পারে। তবে গরমের দেশগুলোতেও হানা দিয়েছে করোনা।
অনেকে বলছেন, করোনা নতুন এবং এমন একটি ভাইরাস, যা তার রূপ পাল্টিয়েছে। ফলে এর গতিবিধি এখনো সঠিকভাবে ঠাহর করা যাচ্ছে না। তাই ঠাণ্ডা গরমের হিসেব না কষে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যতটুকু সম্ভব ঘরে থাকা, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা আপাতত প্রতিরোধের উপায়।
গত কয়েকদিন ধরেই বেশ গরম পড়েছে। যানহীন রাজধানীতেও দিনের বেলা ঝরছে ঘাম।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বর্তমানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটা এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ অব্যাহত থাকবে। সঙ্গে আবহাওয়াও শুষ্ক থাকবে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
ফলে দেশের ফরিদপুর, সীতাকুন্ড, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে। এই অবস্থায় আবহাওয়াও শুষ্ক থাকবে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে।
আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে বুধবার (১ এপ্রিল) নাগাদ। আর আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
সারাদেশেই তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গায় বিরাজ করছে মৃদু তাপপ্রবাহ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি