বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুয়ায়ুন কবির।
যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় সোনাতলা, ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ, সারিয়াকান্দি সদরসহ মোট ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া যমুনা চরের অনেকে ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে নৌকায় নদী তীরে চলে আসছেন। বন্যার দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে আসছেন।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৗশলী মো. হুয়ায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার দুপুর ১২টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭ দশমিক ৮৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এখন এ নদীতে ১৬ দশমিক ০৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এ নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।
হুয়ায়ুন কবির জানান, এর আগে গত শনিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি ১৭ দশমিক ৮৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
কেইউএ/আরবি/