হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে শিল্প-কারখানা থেকে নিঃসরণ হওয়া বর্জ্যে দূষিত নদীর পানি ও নদী দখলের শতাধিক চিত্র জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়েছে। চিত্রগুলোতে পানির কালো বর্ণ ধারণ, মৎস্যশূন্য হয়ে যাওয়া, দুর্গন্ধের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কষ্টকর জীবনসহ নদীর ওপর অত্যাচারের প্রতিরূপ ফুটে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস উপলক্ষে রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের আরডি হল প্রাঙ্গণে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার।
অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন নদী দখল সংক্রান্ত চিত্র এঁকেছেন। নদী দখল করে ব্যক্তিগত স্থাপনা, সাইনবোর্ড স্থাপন ও শিল্পবর্জ্য নিঃসরণের চিত্র এঁকে কয়েকজন প্রতিযোগী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আয়োজকরা অনুষ্ঠানস্থলে সোনাই, সুতাং ও খোয়াইসহ বিভিন্ন নদীর কালো বর্ণের পানি বোতলে ভরে উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রদর্শন করেন। প্যান্ডেলের চার দিকে টাঙানো হয়েছে নদীর দখল-দূষণ সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনের কাটিং।
আয়োজকরা বাংলানিউজকে জানান, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ব্যবহার ছাড়াই অপরিশোধিত বর্জ্য আবাসিক এলাকা এবং নদী ও খালে নিঃসরণ করা হচ্ছে। যে কারণে প্রতিদিনই ভয়াবহভাবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বাংলানিউজকে জানান, দেশের অন্য নদীর মতো হবিগঞ্জের নদীগুলোরও অবস্থাও সংকটাপন্ন। দখল, দূষণ, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নদীবিরুদ্ধ বহুমুখী ব্যবহারে নদীগুলোর অস্তিত্ব আজ সংকটাপন্ন। নদী কৃত্য দিবসে তারা এ অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
একইদিন নদী কৃত্য দিবস উপলক্ষে বাপা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, নদী নিয়ে গান-কবিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় চিত্রাঙ্কনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের পুরস্কার দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এসআরএস