নীলফামারী: সৈয়দপুরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রান্তর। গরমে হঠাৎ শীতের আমেজে বিস্মিত সবাই।
শুক্রবার (২ মার্চ) সারারাত ধরে কুয়াশা পড়তে দেখা যায় এ অঞ্চলে। তাপমাত্রা নেমে আসে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বাংলানিউজকে জানান, কয়দিন ধরে আবহাওয়া মেঘলা ছিলো। এ জন্য তাপমাত্রা কমতে থাকে। হঠাৎ কুয়াশায় তা আরও নেমে যায়। রাতের তাপমাত্রা নেমে আসে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সাধারণত শীতকালে এমন তাপমাত্রা থাকে। তবে শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। তীব্র তাপদাহ শুরু হয়। তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুন কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়ার এমন বিপরীতমুখী অবস্থান অতীতে দেখিনি। এটা জলবায়ু বৈপরিত্যের প্রভাব। দিনে প্রচণ্ড গরম অথচ রাতে হীম শীত পড়ছে।
আবহাওয়ার এই তারতম্যকে ভয়াবহ বলেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সৈয়দপুরের জেলা শাখার সভাপতি ডা. মাহাবুবুল হক। তিনি বলেন, আজব এ আবহাওয়ার কারণে জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে আসে। বয়োবৃদ্ধদের এ অবস্থায় সতর্ক থাকতে হবে। যাদের ডায়াবেটিক, রক্তচাপ, হৃদরোগ রয়েছে তারা আরও সাবধানে থাকবেন। কেননা এতে করে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকবে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, রাতদিনের তাপমাত্রার তারতম্যে কৃষিতে প্রভাব পড়ে। বোরো ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। তবে আমরা সতর্ক আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
কেএআর