ঢাকা: দাপট দেখিয়ে বিদায় নিচ্ছে বাংলা বর্ষ। চৈত্রের শেষ দিন থার্মোমিটারের পারদ গিয়ে ঠেকলো ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে, যা এ মৌসুমের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
মৌসুমের তৃতীয় তাপপ্রবাহ চলছে এবং গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) আরো সেটা বিস্তৃত হলো।
এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া টাঙ্গাইল ও সিলেটে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বৈশাখের প্রথম দিনে বৃষ্টির আভাসও রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) কুমিল্লা অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, ঈশ্বরদী, রাঙামাটি, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এসময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিমি।
বৃহস্পতিবার নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ধিত দিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে।
এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
ইইউডি/এএ