ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ফাইল ছবি

পিরোজপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সোমবার (২৪ মে) বিকেলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এ সময় তিনি বলেন, জেলার সাত উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

জানা গেছে, এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন উদ্যোগে দু’দফা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে রোববার (২৩ মে) রাতে ডিসি আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী, স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সত্তার হাওলাদার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জেছের আলী, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ চিন্ময় রায়, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারীসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।  

ডিসি আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রাখার লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীকালে প্রতিটি ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠনেরও প্রস্তুতি চলছে।  

সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান ,এ জেলায় আইভি এবং খাবার স্যালাইন যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে।

জেলার নাজিরপুর ইউএনও মো. ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলার নয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।  

নাজিরপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। খাবার পানির জন্য প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রের গভীর নলকূপগুলো ঠিক আছে কি-না তা পরিদর্শন করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।