ঢাকা: পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর খুব কাছে চলে এলো চাঁদ। ফলে লালচে বড় আকারের এক অন্যরকম চাঁদ দেখল পৃথিবীবাসী।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে এই শোভনীয় দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হলো দেশবাসী।
আবহাওয়াবিদ আছাদুর রহমান আগেই জানিয়েছিলেন আকাশ পরিষ্কার থাকলেই কেবল চন্দ্রগ্রহণটি ভালোভাবে বাংলাদেশের আকাশ থেকে দেখা যাবে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে তাদের কোনো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদন লেখার সময় দেশের আকাশে ঝলমলে চাঁদ দেখা দিলেও সন্ধ্যায় গ্রহণের সময় আকাশ ছিল মেঘলা। তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে চন্দ্রগ্রহণ পরিস্কারভাবেই দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ থেকেও দেখা গেছে চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশে সবার আগে গ্রহণটি শুরু হয় চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। আর সবার পরে গ্রহণ শেষ হয় রংপুরে, ৭টা ৫৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। ঢাকায় শুরু হয় ৬ টা ৪২ মিনিটে, শেষ হয় ৭ টা ৫১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।
যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় ১৭টা ৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে অ্যালোফি দ্বীপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ থেকে চাঁদ বেরিয়ে আসাসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয় ৭টা ৫১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে ম্যাকাও থেকে পশ্চিম দিকে কোরাল দ্বীপে।
এই ধরনের গ্রহণে চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। তাই চাঁদকে বড় দেখায়। পৃথিবী ছায়া পড়ায় চাঁদের রং হয় রক্তিম। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানিরা একে সুপার ব্লাড মুন বলে। এছাড়া চাঁদ বড় এবং উজ্জ্বল দেখায় বলে একে সুপারমুনও বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
ইইউডি/আরএ