ঢাকা: দেশের ১৩টি জেলার নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে ডুবে আছে। কোথাও কোথাও এখনো পানি বাড়লেও অধিকাংশ জায়গায় কমছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানি সরে যেতে সময় লাগতে পারে। ২০২০ সালেও নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও লোকালয় থেকে পানি সরে যেতে সময় লেগেছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বর্তমানে নয়টি নদ-নদীর পানি ২১টি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ১৩টি জেলা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত উভয় নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আগামী রোববারের মধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়া জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এছাড়া স্থিতিশীল হতে পারে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির।
অন্যদিকে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বন্যা আক্রান্ত ১৩টি জেলা হলো- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর।
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এমন নদ-নদীগুলো হলো- ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তুরাগ, কালিগঙ্গা, পদ্মা, আত্রাই ও ধলেশ্বরী।
বন্যা পরিস্থিতি কয়েকদিনে উন্নতি হলেও আবারো অবনতি হতে পারে। কেননা সামনে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ছে। চলতি মাসে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
ইইউডি/আরবি