ঢাকা: মাসের প্রথম থেকে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে জনজীবনে হাঁসফাঁস নেমেছিল ঈদের সময়টায়। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় বর্তমানে সেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অফিস রোববার (১৮ জুলাই) রাতে জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, সিলেটে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়াও বেশকিছু স্থানে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। আগামী দু’দিনে আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি ধরণের সক্রিয়।
এই অবস্থায় সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী, রংপুর এবং নীলফামারী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
আগামী দু’দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- পাবনা, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্র-বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার সিলেটে ১৭৮ মিলিমিটার ও রাঙ্গামাটিতে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিনদিন ধরে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
ইইউডি/কেএআর