বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা পাঁচদিন ধরে বরগুনার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর মধ্যে শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার বা ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিন বিকেলে বরগুনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জোয়ারের পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে বসত-বাড়ি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। তীররক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভেঙে যেতে পারে বলে আতঙ্কে আছেন নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, এটি এ মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার। শনিবার বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটায় ১০০ সেন্টিমিটার বা ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অপরদিকে গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে বরগুনার প্রধান তিন নদীতে (পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর) জোয়ারের পানি বেড়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে ও পাথরঘাটার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটা উপজেলায় ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে শুক্রবারের (১২ আগস্ট) তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপটি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে।
আর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভারী বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েক দিন যাবত বেশি রয়েছে। বৃষ্টি হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এসআরএস/এমএমজেড