ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

হামদর্দ কেন ইউনিক প্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
হামদর্দ কেন ইউনিক প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: হামদর্দ একটি ইউনিক বা আক্ষরিক অর্থে অনন্য প্রতিষ্ঠান। শুধু ইউনানী আয়ুর্বেদিক বা ন্যাচারাল মেডিসিনের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নয়, এর অনেকগুলো বিশেষত্ব এটিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ও ইউনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মেঘনা সেতু সংলগ্ন গজারিয়ায় ফুলদি নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সাধারণ বিষয়গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একমাত্র হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনানী আয়ুর্বেদিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।  

তাছাড়া ডিগ্রি পর্যায়ে ইউনানী আয়ুর্বেদিক শিক্ষায় বিদ্যমান তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠানই হামদর্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে আধুনিক হামদর্দ-এর রূপকার ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি এটাকে স্থায়িত্বশীল করার জন্য এ সেক্টরে পেশাদার হাকিম-কবিরাজ তথা সুচিকিৎসক তৈরি করতে মনোযোগী হন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে দেশব্যাপী বিস্তৃত প্রায় ৩০০ চিকিৎসা ও বিক্রয় কেন্দ্র এ সেক্টরকে গতিশীল রেখেছে।

হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি ত্রিমাত্রিক জেনারেল হাসপাতাল। বাংলাদেশে একমাত্র এখানেই রয়েছে একই হাসপাতালে অ্যালোপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির সমন্বিত চিকিৎসার ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে এটি একটি অনন্য নজির। হাসপাতালটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সে সময়ের ওয়াকফ প্রশাসক সাজ্জাদ হোসেন। যেহেতু হামদর্দ একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান। তাই এক্ষেত্রে তার মূল্যায়ন শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয- তাৎপর্যপূর্ণও বটে।

তিনি বলেন, দেশে নথিভুক্ত ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৪ হাজারেরও বেশি। এর বাইরেও অনেক ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেকোনো বিবেচনায় সেরা ও অন্যদের জন্য অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হলো হামদর্দ।  

বাংলাদেশ ইউনানী ওষুধ শিল্প সমিতির সেমিনারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ন্যাচারাল মেডিসিনের জগতে একমাত্র হামদর্দ ওষুধের গুণগতমান রক্ষা করে উৎপাদন এমনকি নির্ধারিত এমআরপিতে বিক্রির নজির স্থাপন করেছে। যারা ভাবছে এটা সম্ভব না- তাদের সামনে হামদর্দ একটি বড় দৃষ্টান্ত।  

হামদর্দ কেন ইউনিক প্রতিষ্ঠান? কারণ এ প্রতিষ্ঠানের পেছনে রয়েছে একজন নিবেদিত প্রাণ আলোকিত ব্যক্তিত্বের দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন। বলা বাহুল্য ১৯৭৭ সালে লে-অফ বা দায়-দেনায় জর্জরিত হয়ে বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানটি চালু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন হাকিম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তিনি প্রতিষ্ঠানকে কর্মীবান্ধব করে ধীরে ধীরে সাফল্যের চুঁড়ায় নিয়ে আসেন। তিনি এ সেক্টরকে আলোকিত করেন। ইউনানী আয়ুর্বেদিক সেক্টর কিংবা বৃহত্তর স্বাস্থ্য শিক্ষাখাতের কথাই বলি কিংবা শিল্প ও কর্মসংস্থানের কথা বললে ড. হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার কথা আসবে। জানা যাবে তার দীপ্তি ছড়ানোর কথা। শত বছরের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হামদর্দ তার সফলতার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুক শতাব্দী থেকে শতাব্দী ছাড়িয়ে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।