বুধবার (৩০ মে) বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সদরঘাট থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ১৮ আগস্ট ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আহম্মেদ নুর ও মোহাম্মদ রাসেল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচারও শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালত-৩ এ। এর মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের আদালতের নাম ব্যবহার করে জামিন আদেশ জাল করে কারাগার থেকে বেরিয়ে যায় তারা।
‘পরবর্তীতে গত ২৩ মে বিষয়টি নজরে আসার পর প্রথম সেকশনে (হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়) জামিন সংক্রান্ত নথি খুঁজতে যাই। কিন্তু সেখানে এ জাতীয় কোনো নথি না পাওয়ায় জালিয়াতির বিষয়টি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে অবহিত করি। ’
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ বলেন, আদালত বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর সেকশনের সুপারিনটেনডেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের জামিন আদেশের মূল কপি ও মামলার নথি হাজির করতে বলেন। কিন্তু সেকশনের কর্মকর্তারা আজ পর্যন্ত ওই জামিনের বিষয়ে কোনো নথি আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। এরপর বিষয়টি আদেশের জন্য আসে।
তিনি আরও জানান, আদালত জামিনের আদেশ জালিয়াতির ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অথবা তার অফিসের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে আগামী এক জুলাইয়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে (মহানগর দায়রা আদালত-৩) আসামিদের গ্রেফতারে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
ইএস/এমএ