এক বছরে অনেকটাই বদলে গেছে জাকের আলী অনিকের জীবন। তার পৃথিবী হয়ে গেছে রঙিন।
গত বছর হাংজু এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বড় মঞ্চে সুযোগ মেলে জাকেরের। সিলেটের সেই ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ জাকের।
বিশ্বকাপের আগে বিসিবিকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় জাকের বলেন, ‘‘কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, ‘তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি। ’ এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত। ’’
জাতীয় দলের স্বপ্নপূরণের পর এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন জাকের। এ নিয়ে রোমাঞ্চ আছে তার মনেও। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে খেলা দেখেন। অবশেষে তিনিও যাচ্ছেন দেশের প্রতিনিধি হয়ে। এ নিয়ে পরিকল্পনাও এঁকে রেখেছেন জাকের।
তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আর সেটি যদি বিশ্বকাপের মঞ্চে হয় আরও ভালো। যখন থেকেই জানি আমি আছি (বিশ্বকাপ দলে) ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করেছি, যে কার সঙ্গে কিভাবে খেলতে হবে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে কৌশল কী রকম হওয়া উচিত। ’
‘দল হিসেবে আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ ধরে ধরে ভালো পারফরম্যান্স করব- জিতব, এটাই আমি চাই। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করব। সবসময় মাথায় আছে যে দেশের জন্য ভালো কিছু করব। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস