পাওয়ার প্লেতে বয়ে গেল বাউন্ডারির বন্যা। তাসকিন আহমেদ অবশ্য এনে দিয়েছিলেন প্রথম উইকেট।
শনিবার ডালাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়ার পর প্রথম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় বল থেকে বাউন্ডারি হাঁকান পাথুম নিশাঙ্কা, ওই ওভার থেকে আসে পাঁচ রান। দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসান এসে ৮ রান দেন, তাতে অবশ্য ছিল ওভারথ্রোতে আসা চারের অবদান।
ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ আসেন তৃতীয় ওভারে। শুরুতে ছন্দটা একদমই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। প্রথম দুই বলেই তাকে চার মারেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু তৃতীয় বলেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় উইকেটের দেখা। শট খেলা নিয়ে দ্বিধায় থাকা কুশল মেন্ডিসের ব্যাট ছুয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৮ বলে ১০ রান করে ফেরেন তিনি। ওই ওভারে আরও এক বাউন্ডারি হজম করা তাসকিন ১২ রান দেন।
চতুর্থ ওভারে আবার তাসকিনকে ফেরানো হয়। এক ছক্কা খেলেও সাত রানের বেশি দেননি তিনি। পঞ্চম ওভার করতে এসে সাকিব আল হাসান দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক ওভারেই তাকে চারবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠান নিশাঙ্কা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত।
প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন মোস্তাফিজ। ৫ বলে ৪ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবুও অবশ্য বাউন্ডারি হাঁকানো থামেনি লঙ্কানদের। পাওয়ার প্লে শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে শ্রীলঙ্কা।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে আসে শ্রীলঙ্কার। এর মধ্যেও পাথুম নিশাঙ্কা সাবলীলই ছিলেন। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন নিশাঙ্কা, পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন কাভারে দাঁড়ানো শান্তর হাতে। ২৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন নিশাঙ্কা।
তার বিদায়ের পর রানের গতি আরও কমে আসে। চারিথ আশালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার জুটিতে ৩২ বলে স্রেফ একটি বাউন্ডারি আসে। তাদের দুজনের ৩০ রানের জুটি ভেঙে দেন রিশাদ হোসেন। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে শেষ আঘাতটাও আসে তার হাত ধরে।
১৫তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে তুলে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন আশালাঙ্কা। শুরুতে ছেড়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ২১ বলে ১৯ রান করা ব্যাটারের ক্যাচ নেন সাকিব। এরপর ব্যাটিংয়ে আসা হাসারাঙ্গার জন্য স্লিপ নিয়ে আসেন শান্ত। ওখানেই মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দেন হাসারাঙ্গা। ওই ওভারে স্রেফ ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ।
নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেও এসে উইকেট তুলে নেন রিশাদ। তার টার্ন করা বলে সামান্য এগিয়ে আসেন ধনঞ্জয়া। মূহূর্তের মধ্যেই ২৬ বলে ২১ রান করা ধনঞ্জয়ার স্টাম্প ভেঙে দেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান শানাকাকে, ১৮তম ওভারে ৩ রান দেন তিনি। পরের ওভারে মোস্তাফিজ দুই রান দিয়ে ৩ বলে শূন্য রানে ফেরান থিকসেনাকে।
শেষ ওভারে এক বাউন্ডারিত ৭ রান হজম করলেও তানজিম হাসান সাকিব ফেরান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। বাংলাদেশের সব বোলারই দারুণ করেছেন। তবে এর মধ্যে রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। সমান ওভারে স্রেফ ১৭ রান দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানও ৩ উইকেট পান। দুই উইকেট পাওয়া তাসকিন ৪ ওভারে ২৫ রান দেন। ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। তানজিম ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময় : ০৮১১ ঘণ্টা, ৮ জুন, ২০২৪
এমএইচবি