নাভিদ নেওয়াজের হাত ধরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছিল। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে হেড কোচ ছিলেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দল গোছাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ক্যাম্পও। নিজের পুরোনো সাফল্য ভুলে নাভিদ এখন তাকাচ্ছেন ভবিষ্যতের দিকে। সেরা ক্রিকেটারদের খুঁজে পাওয়ার পথও বলেছেন বিসিবির দেওয়া ভিডিওতে।
তিনি বলেন, ‘এই স্কোয়াডে অনেক মেধাবী ক্রিকেটার আছে। মাত্র ওদের নিয়ে কাজ শুরু করলাম। আগামী তিন সপ্তাহ আমরা বিকেএসপিতে ক্যাম্প করব। কিছু ম্যাচও খেলব এবং আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়ার চেষ্টা করব। এটা চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য বড় সুযোগ হতে যাচ্ছে। এখানকার বেশিরভাগ ছেলে কয়েকবছর তরুণদের লিগে খেলেছে এবং ভালো করেছে। এটা সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়ার ভালো সুযোগ। ’
‘বিশ্বকাপের আগে বিসিবি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সিরিজ আয়োজনের ভাবনা রেখেছে। তবে যে কন্ডিশনে খেলা হোক না কেন খেলোয়াড়দের দায়িত্ব তারা যেন যে কোনো কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেয়। আগামী ১৮ মাসে আমরা সেরা প্রস্তুতিটাই নিতে চাই। যাতে আমরা মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য অর্জন করতে পারি। ছেলেদের যেন মনে না হয় আমরা শুধু বাংলাদেশেই খেলছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, দেশের বাইরেও আমরা যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট খেলছি। ২০২৫’র শেষ দিকে যেন বিশ্বের যে কোনো দেশের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ার মতো দল হই। ’
২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপ জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে ভাবা হয়। ওই দলের অনেক ক্রিকেটারই পরে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। পুরোনো সেসব দিন ভুলে গিয়ে এখন নতুনদের তৈরির চেষ্টায় আছেন নাভিদ।
এই লঙ্কান কোচ বলেন, ‘দেখুন ওই বিশ্বকাপের পর অনেক দিন চলে গেছে। ছেলেরা যদি বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনে খেলার সুযোগ পায়, দুই বছর যদি ছেলেরা নিজেদের নিংড়ে দেয়, যদিও এই ছেলেদের কখনও বাইরে খেলা হয়নি। আমাদের তাই তাদের গড়ে তুলতে হবে। শুধু তাদের খেলা নয়, তাদের ব্যক্তি হিসেবেও গড়ে তুলতে হবে। আমরা বিশ্বকাপ জিতব এটা বলাও ঠিক নয়। এখন আসল কাজ হলো- দলটাকে গড়ে তোলা। আমরা জানি আগামী বিশ্বকাপে লড়তে হলে কী কী উন্নতি দরকার। বড় দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো সব ধরনের গুণ আমরা অর্জন করতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ