হোক না দ্বিতীয় সারির দল, তবুও ভারত তো! সদ্য যারা পেয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চমক দেখাল বিশ্বকাপ না খেলা জিম্বাবুয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারানোর জন্য ৮ বছর অপেক্ষা করতে হলো জিম্বাবুয়ে। সবশেষ ঘরের মাটিতেই জয় পেয়েছিল তারা। এনিয়ে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের তৃতীয় জয়।
এবার পুঁজি ছিল কেবল ১১৫ রানের। তা সত্ত্বেও প্রথম বল থেকেই ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতেই সাজঘরে ফেরান চার ব্যাটারকে। এরপর আর কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। এক বল হাতে রেখেই তাদের ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। গত ৮ বছরে এটাই ভারতের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। দলটির হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল তিন ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে অধিনায়ক শুভমান গিলের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে সফরকারীদের সব আশা ছিল ওয়াশিংটন সুন্দরকে (২৭) ঘিরে। কিন্তু শেষ ব্যাটার হিসেবে তাকে ফিরিয়ে জয়োৎসব করে জিম্বাবুয়ে।
যেখানে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। ১৬ রান দিয়ে তার মতো ৩ উইকেট শিকার করেন তেন্দাই চাতারাও।
হারারেতে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। থিতু হলেও কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রবি বিষ্ণোই আর ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিন মায়াজালে আটকা পড়েন তারা। সর্বোচ্চ ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্লাইভ মাদানদে। এছাড়া ডিওন মায়ার্স ২৩, ব্রায়ান বেনেট ২২ ও ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ২১ রান।
ভারতের হয়ে স্রেফ ১৩ রান খরচে ৪ উইকেট নেন বিষ্ণোই। ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার সুন্দরের। এছাড়া আভেশ খান ও মুকেশ কুমার নেন একটি করে উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে ১১৫ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড নেই আর কোনো দলের। জিম্বাবুয়ে গড়ল সেই ইতিহাস। শুধু তা-ই নয়, টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জয়রথেও (১২ ম্যাচ) ইতি টেনেছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
এএইচএস