ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এমন অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জেতা কঠিন: নান্নু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
এমন অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জেতা কঠিন: নান্নু

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য টি-টোয়েন্টি খেলার মঞ্চ একটিই- বিপিএল। এই টুর্নামেন্টেও আবার থাকে বিদেশি তারকাদের ভিড়।

গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চালকের আসনে থাকেন তারাই। অনেকদিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাড়ানোর কথা উঠছে।  

অবশেষে বিপিএলের বাইরে আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ডিসেম্বরে হবে এই টুর্নামেন্ট। এর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বিসিবির চিফ কো অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রামের দায়িত্ব নেওয়া মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, এখনকার অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব না।  

মিরপুরে নান্নু বলেন, ‘এখানে কিন্তু অনেক চিন্তা-ভাবনা করে। একটা ফরম্যাটে ভালো দল গড়ে বিশ্বকাপের চিন্তা করা উচিত। এখন আমাদের যে অবস্থা, এই অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জেতা কঠিন। একটা সময়ের দরকার। এই সময়ের মধ্যে যদি দলটাকে তৈরি করতে পারি। আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করব। ’

এরপর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমনিতেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট যদি দেখেন, টি-টোয়েন্টিতে অনেক কম খেলোয়াড়রা ম্যাচ পায়। বিপিএল হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্র্যাকেটে, এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিদেশি খেলোয়াড়রা খেলে। এই জায়গায় আমাদের খেলোয়াড়দের সুযোগ কম থাকে। ’ 

‘এখন চেষ্টা করা হচ্ছে, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য যে টুর্নামেন্টগুলো, ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও কিছু খেলোয়াড় দরকার ভালো। কিছু আইডেন্টিফাইড খেলোয়াড় দরকার একেকটা প্লেসের মধ্যে যাদেরকে নার্সিং করে আন্তর্জাতিকের জন্য তৈরি করা। তার সঙ্গে সঙ্গে এ খেলোয়াড়দের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা দিতে হবে। ’

বর্তমানে একই সঙ্গে চলছে হাই পারফরম্যান্স ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প। তাদের মধ্যে থেকে একটি দল গড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফরেও। দুই দলই এখন অনুশীলন করছে ঢাকায়। এই ক্যাম্পকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন নান্নু।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট তো পুরোপুরি ঢাকাকেন্দ্রিক। আমাদের তো এখনও সেন্ট্রালাইজড হয়নি। এটা যদি আপনি বলেন, আমাদের চারটা রিজিওনাল বোর্ড আছে। কিন্তু হাই পারফরম্যান্স ইউনিট যদি থাকতো তাহলে আপনি ৮০টা খেলোয়াড়কে নার্চার করতে পারতেন। তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের জন্য খেলোয়াড়দের তৈরি করা যেতো। ’ 

‘এটা সরাসরি হবে না। রিজিওনাল বোর্ডগুলো কাজ শুরু করেছে। আশা করছি চারটা যদি অন্তত শুরু হয়ে যায়। তাহলে চার জায়গায় ক্রিকেট সেন্টার করে খেলোয়াড়দের উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে, খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। আমাদের যে সীমিতসংখ্যক খেলোয়াড় আছে এখন, তাদের নিয়ে আগাতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।