টেস্ট ক্রিকেটে এখনকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা দেখে আফসোসের সুরই বেজে ওঠে। অথচ একটা সময় অপ্রতিরোধ্য দল ছিল তারা।
ক্যারিবিয়ানরা কি আবারও কখনো সেই রূপে ফিরতে পারবে? এমন প্রশ্ন এখন হরহামেশাই হয়। কিন্তু কোনো আশা মেলে না। গত বছর তিনটি টেস্ট সিরিজ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি তারা। যদিও এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ে তারা। সেটাও ২৭ বছরের অপেক্ষার পর।
তাই সাদা পোশাকে ক্যারিবিয়ানরা যে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটার সমাধান শুধু টাকা ঢাললেই হবে না বলে মনে করেন কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান লারা। বিবিসির সঙ্গে পডকাস্টে লারা বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০-২০০ মিলিয়ন ডলার রাখলেই কি আমরা যেভাবে খেলি সেটা বদলে যাবে? আমি নিশ্চিত নই। '
'আমাদের যে প্রতিভা আছে সেটা আমরা কাজে লাগাচ্ছি না। অবশ্যই বিভিন্ন খেলাধুলা ও সুযোগের কারণে ক্রিকেটের বাচ্চাদের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু এখনো বিশ্বাস করি কর্পোরেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাজে নামতে হবে। তৃণমূলে স্পন্সরদের আকৃষ্ট করার জন্য ও একাডেমি পর্যায়ে মানসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড সঠিক কাজটা করেনি। আমি মনে করি এই জিনিসগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। '
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে দর্শকদের মধ্যেও খুব একটা মাতামাতি নেই। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে অনেক সিটই ফাঁকা পড়ে থাকে। যেমনটা আগে হতো না। তাই ক্রিকেটের প্রতি তাদের সেই ভালোবাসাটা ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন লারা।
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বলেন, 'গেট দিয়ে আসার সময় আমরা কাউকে অপেক্ষা করতে দেখি না। বুধবার আমি লর্ডসে ঢুকি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এবং তখনো বাইরে লোকে অপেক্ষা করছিল গেট খোলার। এই বিষয়টির সঙ্গে আমি ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। ভোর সাড়ে ৫টায় গিয়ে কুইন্স পার্কের (ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোয়) গেট খোলার অপেক্ষায় থাকতাম। '
'কিন্তু এমনটা আর হচ্ছে না। সকাল ১১ টায় গেলেও স্টেডিয়াম ফাঁকা দেখা যায়, চাইলে যেকোনো সিটে বসা যায়। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে দর্শকদের ফিরিয়ে আনার। এর মাধ্যমেই ক্যারিবিয়ানরা প্রাণ খুঁজে পাবে এবং টাকার দুনিয়ায় তাদের বুঝতে হবে টেস্ট ক্রিকেট আসলে কী এবং এর থেকে কী পেতে পারে। এটা নিয়ে দর্শককে আরও উৎসাহী করে তুলতে হবে এবং আমরা তা করতে পারিনি। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
এএইচএস