২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হবে পাকিস্তানে। কিন্তু সেখানে খেলতে যেতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট দল।
পিসিবির একটি সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'এনডিটিভি' জানিয়েছে, সম্প্রতি কলম্বোতে আইসিসির সভায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাজেট অনুমোদনের সময় শিডিউল ও ফরম্যাট জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, 'চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে পিসিবি। ইভেন্টের ড্রাফট শিডিউল ও ফরম্যাটের পাশাপাশি বাজেট সাবমিট করা হয়েছে। '
'এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিডিউল নিয়ে বাকি আলোচনা ও চূড়ান্ত করার দায়িত্ব আইসিসির। পিসিবির জমা দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী, ভারতের সব ম্যাচ সেমিফাইনাল সহ (যদি কোয়ালিফাই করে) আয়োজন করা হবে শুধু লাহোরে। '
আরেকটি সূত্র অনুযায়ী 'এনডিটিভি' জানিয়েছে, 'পিসিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় দলের জন্য ভেন্যু বাছাই এবং পাকিস্তান সরকারের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে লিখিত ডকুমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে। '
এর আগে ২০২১ সালে সাবেক বোর্ড সভাপতি এহসান মানির সময়কালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল পিসিবি। ২০২২ সালে রমিজ রাজা যখন সভাপতি ছিলেন, তখন আইসিসি আয়োজনের অনুমতি দেয়।
সূত্রের আরও দাবি, আইসিসির মিটিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহর সঙ্গে পিসিবি প্রধান মহসিন নকভীর দেখা হলেও আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। ফলে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায়, তাদের রাজি করানোর ভার আইসিসিকে দিয়েছে পিসিবি।
এবারও হাইব্রীড মডেল?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত যদি রাজি না হয়, তাহলে পাকিস্তানের বাইরে ম্যাচ আয়োজন করার জন্য আলাদা বাজেট রেখেছে আইসিসি। এটাও প্রায় নিশ্চিত যে, ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে কোনোভাবেই যাবে না। বিসিসিআই আরও আগেই জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় সরকার।
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। সেবার ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়। এই মডেলকে বলা হচ্ছিল 'হাইব্রিড মডেল'। সম্ভাবনা আছে, এবারও একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ভারত। যদিও লাহোরে ভারতীয় দলকে আতিথ্য দিতে চায় পিসিবি। যার মধ্যে রয়েছে ১ মার্চ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও। কিন্তু বল এখন আইসিসির কোর্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এমএইচএম