ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দাপট আবাহনী লিমিটেডের। ক্লাবটি শিরোপা লড়াইয়েও এগিয়ে থাকে সবসময়।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর আবাহনী ক্লাবে হামলা হয়। ট্রফিও লুট করা হয়। এই অবস্থায় আবাহনীর ভবিষ্যৎ কী হবে, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বছরের প্রিমিয়ার লিগ শেষেই পরের আসরের জন্য দল গোছানোর কথা বলেছিলেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দল তো ইতোমধ্যে করা ছিল, টাকা দেয়াটা সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে হবে কি হবে না সেটা আমি বলতে পারব না, সেটা সময়ই বলে দেবে। এখনও অনেক সময় বাকি। যদি খেলোয়াড়রা তাদের পারিশ্রমিক ঠিক মতো বুঝে না পায় তাহলে তো অবশ্যই অন্য দলের অফার থাকবে, চলে যাবে। ’
‘অনেক ছেলে আমাকে ফোন করেছে তারা বলেছে স্যার আমরা স্যাক্রিফাইস করে হলেও আবাহনীতে খেলবো। কিন্তু আমি বলেছি না, তোদের এটা পেশা। ৫ লাখ টাকা স্যাক্রিফাইস করা যায়, তাদের এত বড় পেমেন্ট। কিন্তু ৫ লাখ টাকা স্যাক্রিফাইস করলেও যে টাকাটা আসে সেটা ক্লাব দিতে পারবে কিনা সেটা তো আমি বলতে পারব না। আমি তো নিজেও পেশাদার এখানে, আমিও বেতন পাই। আমার বেতন দিতে পারবে কিনা সেটাও আমি জানি না। ’
অর্থনৈতিকভাবে করুন অবস্থার কথা ফুটে উঠেছে সুজনের কথায়ও। এ অবস্থায় ক্লাবটি কি সত্যিই প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে? এমন প্রশ্নও উঠছে। ডিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ এই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন সময়ের হাতে।
তিনি বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ তো মার্চ মাসে হয়, এটা মাত্র আগষ্ট মাস চলছে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এর মধ্যে দেশের অবস্থা কি হয় না হয় সেটা তো আমি বলতে পারব না, ভালো হতেও পারে। কিন্তু দল ওইরকম করতে পারুক, না পারুক হয়তবা পেশাদার কোন খেলোয়াড় নিতে পারুক , না পারুক আবাহনীকে মাঠে নামতে হবে। খেলতে তো হবেই প্রিমিয়ার লিগ। সেটা তো অবশ্যই খেলতে হবে নয়ত দল না করলে বিপদ হতে পারে। আবাহনীর মতো এত বড় একটা দল যারা স্পোর্টসে এত লিড করে তারা খেলবে না লিগে এটা তো হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ