চা বিরতির আগে সেঞ্চুরি হবে না, বুঝেছিলেন হয়তো সাদমান ইসলামও। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়ার অপেক্ষা তার এদিন আর ফুরাবেই না।
রাউয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। এরপর তৃতীয় দিনের চা বিরতি অবধি ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
কোনো উইকেট না হারানোর স্বস্তি নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৮ বলে ১২ রান করে নাসিম শাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকির হাসান, বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে প্রায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের সামনে থেকে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ও সাদমানের জুটিতে রানের গতি একদমই কমে আসে। এই জুটিও অবশ্য দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়নি। ৪২ বলে ১৬ রান করে খুররাম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে যান শান্ত।
লাঞ্চ বিরতির আগের বাকি সময়টুকু মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন সাদমান। লম্বা সময় ধরে উইকেটে থাকা সাদমান লাঞ্চে যাওয়ার ঠিক আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তখন ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে মুমিনুল।
বিরতি থেকে ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর অবশ্য উইকেটে থাকতে পারেননি খুব বেশিক্ষণ। ৭৬ বলে ৫০ রান করার পর খুররাম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল। তার বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন সাদমান।
এর মধ্যে একবার বাঁচেন রিভিউ নিয়ে। আগা সালমানের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায় বলটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। সাদমানের রান তখন ৫৭। এরপর ধীরে ধীরে মুশফিকের সঙ্গে জুটিটি বড় হাতে থাকে তার, তিনিও এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে।
কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগের বলে বোল্ড হন তিনি। মোহাম্মদ আলির ভেতরে ঢোকা বল সাদমানের ব্যাট ও প্যাডের মাঝখান দিয়ে গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৮৩ বল খেলে ১২ চারে ৯৩ রান করেছেন সাদমান।
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি