শুরুতেই ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এমনকি দলীয় সংগ্রহ ৫০ ছাড়াবে কি না তা নিয়েও দেখা দিয়েছিল সংশয়।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ শুরু থেকেই চাপে পড়ে। অল্পের জন্য জাকির হাসান বেঁচে যান আবরার আহমেদ ক্যাচ ধরতে না পারায়। তার সামান্য সামনে পড়ে বল, যদিও উদযাপন করে ফেলেছিলেন আবরার। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট হয়, বল আগে পড়েছিল মাটিতে।
এরপর জাকির আরও একবার সুযোগ পান। মীর হামজার বল জাকিরের প্যাডে লাগে, জোরালো আবেদনও হয়; কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয়নি পাকিস্তানও। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, স্টাম্পে আঘাত হানতো বল।
পরের ওভারে এসেই অবশ্য জাকিরের উইকেট তুলে নেন খুররাম শেহজাদ। সেই আবরার আহমেদের হাতেই মিড উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ দেন ১৬ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারের প্রথম বলে সাদমান ইসলামকে বোল্ড করেন খুররাম।
দুই বল পর একই ভাগ্য বরণ করতে হয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। স্রেফ ৫ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে বাংলাদেশকে পাহাড়সম চাপে ফেলে দেন খুররাম। পরে যত সময় গড়িয়েছে, তত সেটি বেড়েছে।
উইকেটের দেখা পান সকাল থেকে দারুণ বল করা মীর হামজাও। ২ বলে কোনো রান করার আগেই তার লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দেন মুমিনুল।
অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানও পারেননি দলের হাল ধরতে। ৯ বলে ৩ রান করে মীর হামজার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। খুররামের বলে এলবিডব্লিউ হন ১০ বলে ২ রান করা সাকিব। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করছেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের প্রতিরোধে ৬ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় সেশনে উইকেটে আরও ভালোভাবে লড়াই চালিয়ে যান লিটন ও মিরাজ। ৮৩ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৮তম টেস্ট ফিফটি। কিছুক্ষণ পরে ফিফটির দেখা মিরাজ। তার লেগেছে ৮১ বল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
এমএইচএম