ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘যারা বলে পিকনিক ক্রিকেট, তারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখে কি না সন্দেহ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
‘যারা বলে পিকনিক ক্রিকেট, তারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখে কি না সন্দেহ’

দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রমাণের সবচেয়ে বড় মঞ্চ জাতীয় ক্রিকেট লিগ। লাল বলের প্রস্তুতি সারতে হয় এই টুর্নামেন্ট থেকে।

একসময় এই টুর্নামেন্টকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের সমালোচনা শোনা যেতো। অনেকে এনসিএলকে অনেকে বলতেন ‘পিকনিক’।  

এ মাসে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্টের নতুন মৌসুম। এর আগে আট দলকে নিয়ে বিসিবিতে বসেছিলেন নির্বাচকরা। এরপর ‘পিকনিক ক্রিকেট’ বলে প্রশ্ন করলে তাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন ঢাকা মেট্টোর কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। এখন এনসিএল বেশ ভালো হয় বলে মত দীর্ঘদিন ধরে টুর্নামেন্টটির সঙ্গে যুক্ত বাবুল।  

তিনি বলেন, ‘যারা নাকি এই প্রশ্নগুলো করে তারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখে কিনা আমার সন্দেহ আছে। প্রায়ই শুনি যে পিননিক গেম হচ্ছে। এনসিএলের সঙ্গে আমি সরাসরি যুক্ত তাই আমি জানি এখানে পিননিক খেলা হয় নাকি কি খেলা হয়। যারা এরকম কথা বলছেন অনুরোধ করব তাদেরকে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে। ’

‘বৃষ্টি ছাড়া আমি বলব এনসিএল অনেক ভালো টুর্নামেন্ট যেটা লাল বলে খেলা হচ্ছে, একমাত্র টুর্নামেন্ট, এই খেলা খেলেই আমাদের ছেলেরা জাতীয় দলের জন্য নির্বাচিত হয়। এখন যে অবস্থায় আছে টুর্নামেন্টকে আরও কিভাবে উন্নতি করতে পারি এজন্য আমরাও এতক্ষণ বসেছিলাম, কথা বলেছি। বিগত দিনে আমাদের যে সমস্যাগুলো ছিল ওইগুলো নিয়ে কথা বলেছি, এর বাইরে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি আমরা। ’

বাবুলের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্টোর আরেক ক্রিকেটার নাঈম শেখ। তার কাছে প্রশ্ন ছিল ব্যাটারদের লম্বা ইনিংস খেলা নিয়ে। তবে মাঠের সুযোগ-সুবিধা, আবহাওয়া, উইকেটসহ বিভিন্ন কারণে লম্বা ইনিংস খেলা সম্ভব হয় না বলে জানান নাঈম।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরোয়াতে যেরকম উইকেট থাকে আমরা প্রত্যাশা রাখি আরও মান সম্পন্ন উইকেট। যেহেতু স্যার একটা জিনিস উল্লেখ করলেন যে বৃষ্টি হয়। সবমিলিয়ে যদি আমাদের উইকেটগুলোর মান আরও ভালো করা যায়..। গ্রাউন্ডের কথা দেখুন, সর্বোচ্চ একদিন যদি বৃষ্টি হয় তিনদিন খেলা বন্ধ থাকে। ’

‘আমাদের গ্রাউন্ড, সুযোগ-সুবিধা, ড্রেনেজ সিস্টেম এগুলো যদি আরও ভালো করা দরকার। আমাদের ডিউক বলে আগেরবার মাত্র দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে, একশ হাতেগোনা কয়েকটা। ডিউক বলটা বড় ব্যাপার, আউটফিল্ড হেভি থাকলে কঠিন। আপনি মাঠে না থাকলে এটা বুঝতে পারবেন না। একজন খেলোয়াড়ের জন্য যে ধরনের উইকেট থাকে, তাতে দুইশ-তিনশ ক্যারি করার জন্য ওই ধরনের আউটফিল্ড, উইকেট দরকার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।