এশিয়ান একাদশ বনাম আফ্রিকান একাদশ! একই দলে ভারতের বিরাট কোহলি, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং পাকিস্তানের বাবর আজম! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কী এমন কিছু আদৌ সম্ভব? আসলে সম্ভব।
ক্রিকেটে এমন আয়োজন সর্বশেষ দেখা গেছে ২০০৭ সালে।
তবে এতদিন পর আফ্রো-এশিয়া কাপ নামে সিরিজটি আলোর মুখ দেখতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান থাকা অবস্থায় দ্বিবার্ষিক সিরিজটি নিয়ে আলোচনা তুলেছিলেন জয় শাহ। সেই আলোচনা সম্প্রতি আরও গতি পেয়েছে জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর।
আইসিসির কর্মকর্তা ও বতসোয়ানা ক্রিকেটের প্রধান সুমোদ দামোদার ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, আফ্রো-এশিয়া কাপ পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা চলছে। জয় শাহ পাশে আছেন, মাহিন্দা ভিল্লাপুরাম (মালয়েশিয়া ক্রিকেটের প্রধান ও আইসিসি পরিচালক) অংশ নিয়েছেন এই আলোচনায়। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিরিজ হতে পারে অনূর্ধ্ব-১৯, ইমার্জিং ও জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিয়ে। এমনটা হলে সাকিব-বিরাট-বাবরদের একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে।
জয় শাহ আইসিসির দায়িত্ব নেওয়ায় পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান মহসিন নাকভি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হতে যাচ্ছেন। বতসোয়ানা ক্রিকেটের প্রধান দামোদর বর্তমানে সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সিইসি হতে নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন। তাদের প্রচেষ্টায় এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা আরো জোরালো হচ্ছে।
২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ন ও ডারবানে বসেছিল আফ্রো-এশিয়া কাপের প্রথম আসর। এরপর ২০০৭ সালে আসর বসে ভারতের বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে। ওই সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। পরিকল্পনায় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিসির সেসময়ের সভাপতি পারসি সন, যিনি আবার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট প্রশাসক ছিলেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল- টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া রাজস্বের ৮০ ভাগ পাবে আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডগুলো এবং ১০ ভাগ পাবে এশিয়ান বোর্ডগুলো। এবারও একইভাবে রাজস্ব ভাগাভাগি করার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এমএইচএম