ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাহিদের উইকেটেই পুরো সেশন পার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
নাহিদের উইকেটেই পুরো সেশন পার ছবি: সোহেল সরওয়ার

একাই লড়াই জারি রাখছিলেন তাইজুল ইসলাম। পাঁচ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে উইকেট এনে দেন নাহিদ রানা। বাংলাদেশও হয়তো দেখতে থাকে অলআউটের স্বপ্ন। কিন্তু চা বিরতির আগে যত সময় গেছে, স্বাগতিকরা টের পেয়েছে ওই পথটা আরও দূরে।  

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২৭ রান করেছে প্রোটিয়ারা।  

হতাশায় মোড়ানো প্রথম দিনে কাটানোর পর বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় দিনে ছিল নতুন আশা খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ। প্রথম সেশন শেষে একটু হলেও সেটি পাওয়া গেছে। অবশ্য প্রথম ঘণ্টা ছিল আগের মতোই। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ১৫ ওভারে ৫৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা, বাংলাদেশের বোলাররাও তৈরি করতে পারেননি সুযোগ।  

এর মধ্যেই জুটির পঞ্চাশ পার করেন ডেভিড বেডিংহ্যাম ও টনি ডি জর্জি। ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেডিংহ্যাম, আগের দিনই সেঞ্চুরি ছুয়ে ফেলা জর্জি করেন দেড়শ। শুরুর দিকে একবার হাসান মাহমুদের বলে আম্পায়ার আঙুল তুললেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন বেডিংহ্যাম।  

বাংলাদেশের জন্য হতাশা যখন শুধুই বাড়ছিল, তখনই ফের ত্রাতা হন তাইজুল ইসলাম। আগের দিনের দুটি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি, দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই আরও তিন উইকেট নিয়ে পূরণ করেছেন ফাইফার। এ নিয়ে টেস্টের এক ইনিংসে ১৪তম বারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেন তাইজুল। বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ বার এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসানের।

তার উইকেট নেওয়ার শুরুটা হয় বেডিংহ্যামকে দিয়ে। তাইজুলকে ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর দ্বিতীয়টিতেও চালিয়ে খেলতে যান তিনি। কিন্তু বল আঘাত হানে বেডিংহ্যামের স্টাম্পে। ৭৮ বলে ৫৯ রান করে বেডিংহ্যামকে সাজঘরে ফিরতে হয়।  

পরের ওভারের শেষ বলে তাইজুল ফেরান বহুল আকাঙ্ক্ষিত টনি ডি জর্জিকে। ইনিংস উদ্বোধনে নামা এই ব্যাটারকে দুইশর দিকে তেমন এগোতে দেননি তিনি। ২৬৯ বলের ইনিংসে ১৭৭ রান করে তার বলে এলবিডব্লিউ হন জর্জি। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি।  

টানা তৃতীয় ওভারে এসে উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এবার ফেরান কাইল ভেরাইনকে। সুইপ করতে গেলে ঠিকঠাক খেলতে পারেননি, বল লাগে তার শরীরে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দিলে রিভিউ নেন ভেরাইনেও, কিন্তু কাজ হয়নি। শূন্য রানে প্রোটিয়া ব্যাটার ফিরলে তাইজুলের ফাইফার পূর্ণ হয়।  

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ১০৬ রান তোলে প্রোটিয়ারা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই সাফল্য এনে দেন নাহিদ রানা। প্রথমবার কোনো পেসার এনে দেন সাফল্য, আগের পাঁচ উইকেটের সবগুলোই ছিল তাইজুলের।  

১২ রান করে রিকটেলটন তার বলে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দেন। প্রথম দিন বাজে কাটানোর পর দ্বিতীয় দিনে এসে প্রথম ডিসমিশাল যোগ হয় অভিষিক্ত অঙ্কনের নামের পাশে। সেশনের শুরুতেই সাফল্য পেলেও পরের সময় আর ভালো কাটেনি।  

হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুল্ডার। তার সঙ্গে সেনুরান মুতোসামির জুটিও বড় হচ্ছে ধীরে ধীরে। ১৩০ বলে ১০৪ রানের জুটি তাদের। ১১৫ বলে ৭৮ রানে মুল্ডার ও ৫৪ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত আছেন মুতোসামি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।