পার্থে যারা সেঞ্চুরি করেছেন, তাদের নির্দ্বিধায় ভারতীয় ক্রিকেটের রথী-মহারথী বলা যায়। এবার সেই ক্লাবে নাম লেখালেন যশস্বী জয়সওয়াল।
শুরুটা শূন্য দিয়ে হলেও পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জয়সওয়াল। অপটাস স্টেডিয়ামে ২৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬১ রানে মিচেল মার্শের শিকার হন ২২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনার। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। প্রতিবারই দেড়শ পেরোনো ইনিংস খেলেছেন তিনি। বয়স ২৩ পূর্ণ হওয়ার তার চেয়ে বেশি দেড়শ বা এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন কেবল ডন ব্র্যাডম্যান (৮ বার)।
পার্থের মাটিতে ভারতের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন সুনীল গাভাস্কার (১২৭)। ১৯৭৭ সালে ওয়াকায় অনুষ্ঠিত একই টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে দেখেন মহিন্দর অমরনাথও (১০০)। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে দুজনের নামই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
গাভাস্কার তার সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে স্পর্শ করেন ১০ হাজার রানের মাইলফলক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত পেস কোয়ার্ট্রেট, অস্ট্রেলিয়ার ডেনিস লিলি-জেফ টমসন, ইংল্যান্ডের বব উইলিসদের হেলমেট ছাড়াই সামলেছেন তিনি।
তার সমসাময়িক মহিন্দর অমরনাথও কম যাননি। ভারতের ১৯৮৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুটোতেই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। টেস্টে ৬৯ ম্যাচ খেলে ৪২.৫০ গড়ে ৪ হাজার ৩৭৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
১৪ বছর পর ভারত পার্থে ফের সেঞ্চুরির দেখা পায় আরেক কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কাছ থেকে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬১ বলে ১৬ চারে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এর পরের গল্পটা হয়তো কারও অজানা নয়। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ব্যাট হাতে ২২ গজ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ছয় বছর আগে এই শহরের অপটাস স্টেডিয়ামে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। ডানহাতি এই ব্যাটার যদিও এখনো খেলে যাচ্ছেন। তবে আরও আগে থেকেই নিজেকে প্রজন্মের সেরায় পরিণত করেছেন তিনি। সেই পথে হাঁটছেন জয়সওয়ালও। ভারতের পরবর্তী সুপারস্টার!
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এএইচএস