জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। দুই দিনেই শেষ হয়ে গেছে ঢাকা ও রাজশাহীর ম্যাচ।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ইনিংস ও ১১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১২৮ রান। একমাত্র ইনিংসে ১৮১ রান করে ঢাকা।
১ উইকেট হারিয়ে ১৮ রান নিয়ে ইনিংস হার এড়ানোর লড়াইয়ে নামে রাজশাহী। কিন্তু শেষ অবধি তারা ইনিংস হার এড়াতে পারেনি, অলআউট হয় ১১ রান আগে। দলটির হয়ে ৫২ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম ইনিংসে ঢাকার হয়ে সাত উইকেট পেয়েছিলেন সুমন খান, এবার তিনি থাকেন উইকেটশূন্য। দলটির হয়ে ১২ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন এনামুল হক। ৬ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট পান রিপন মণ্ডল।
সিলেটের একাডেমি মাঠে খুলনার মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট হয় খুলনা। এরপর চট্টগ্রাম করেছে ২২০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন অবধি ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করেছে খুলনা।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান দিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে আগেরদিনের অপরাজিত পারভেজ হোসেন ইমন তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৩৯ বলে ১০৭ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। খুলনার হয়ে পাঁচ উইকেট পান মেহেদী হাসান রানা। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার হয়ে ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন এনামুল হক বিজয়।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে ঢাকা মেট্টোর মুখোমুখি হয়েছে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানে অলআউট হয় ঢাকা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে এখন অবধি ৩২ রান করেছে রংপুর।
ঢাকার হয়ে আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাঈম শেখ আউট হন ২৮৫ বলে ১৮০ রান করে। এছাড়া হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল আইয়ুব ও গাজী তাহজিবুল ইসলাম। রংপুরের হয়ে তিন উইকেট নেন আরিফুল হক। রংপুরের হয়ে ৫১ বলে ৬ রানে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ৪৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম ইসলাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রানে অলআউট হয়েছে বরিশাল। সিলেট এখন অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করেছে।
বরিশালকে অলআউট করার পথে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সিলেটের রেজাউর রহমান রাজা। দুটি উইকেট পেয়েছেন এবাদত হোসেনও। ব্যাট করতে নেমে সিলেটের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মবিন আহমেদ দিশান, অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম