টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ক্যারিবীয়দের ১৪০ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান শেখ মেহেদীর। দারুণ স্পিন বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৩ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং এবং পরে ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ রানে ৩ উইকেট ছিল এত দিন তার সেরা বোলিং।
তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একই ম্যাচে কমপক্ষে ২৫ রান ও ৪ উইকেট নিলেন শেখ মেহেদী। অন্য দুজন সাকিব আর মাশরাফি। সাকিব এই কীর্তি গড়েছেন চারবার, ক্রিকেট বিশ্বেই যা সর্বোচ্চ।
বোলিংয়ে সাফল্য পেয়েছেন তাসকিনও। ব্র্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটি তিনিই হানেন। পরে তুলে নেন আরও এক উইকেট। জোড়া শিকারের দিনে একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কীর্তি এখন তার। ২০২৪ সালে তিনি পেয়েছেন ৫৮ উইকেট। এর আগে ২০১৮ সালে ৫৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তারও আগে ২০০৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা নিয়েছিলেন ৫৩ উইকেট।
বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন লিটন দাস। তবে কিপিংয়ে দেশের হয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫টি ডিসমিসালের কীর্তি গড়েছেন তিনি। এত দিন কীর্তিটি ছিল মুশফিকুর রহিমের দখলে। ২০০৭ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩টি ডিসমিসাল পেয়েছিলেন তিনি। ৩টি করে ডিসমিসালের কীর্তি রয়েছে নুরুল হাসান সোহান (দুইবার) ও লিটনেরও। আজ এককভাবে এই রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন লিটন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
এমএইচএম