সিলেট থেকে: মেয়েদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে দুটি ম্যাচ শেষ, শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর সেমিফাইনালের আশা আর একেবারেই নেই ভারতের। এবার অন্তত একটি জয়ের আশায় মুখিয়ে মিতালি রাজের দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম দুটি ম্যাচে প্রশংসনীয় বোলিং ফিল্ডিং সালমাদের ছিল। কিন্তু ব্যাটিং দুর্দশা কাটাতে পারছে না দীর্ঘদিন ধরেই। বারবার পাওয়ার প্লের সদ্ব্যবহার না করতে পারার বিষয়কেই দুষছেন দলের খেলোয়াড়রা।
আর বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো ভারতকে মোকাবিলা করতে নামার আগে ভালো পরিসংখ্যানও নেই স্বাগতিকদের পক্ষে। যদিও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আসা দর্শকরা গ্যালারি থেকে ঠিকই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয়দের বিপক্ষে ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলে সবগুলোতেই হারের অভিজ্ঞতা সালমাদের। সম্প্রতি এই টুর্নামেন্টে আসার আগে ভারতের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। আর ব্যাটিংয়ের হালচিত্র তো একেবারেই লজ্জাজনক। ওই সিরিজে তাদের দলীয় স্কোর ৮৫, ৬৬ ও ৮২।
এর আগে ভারতের আমন্ত্রণে গত বছর এপ্রিলে ভাদোদারায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটের ওই সিরিজে সালমাদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর একশ’ পেরিয়েছিল একবারই, কিন্তু হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছিল।
এখনও জয়ের দেখা না পাওয়া ভারত তাই বাংলাদেশ শিকারে মগ্ন হয়ে আছে। টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচেই ব্যাটিং দুর্দশায় ভুগেছে তারাও। মিতালি সর্বশেষ ম্যাচে খেলেছেন ৫৭ রানের ইনিংস। কিন্তু অন্যরা জ্বলে উঠতে পারছেন না। বোলিংয়েও তেমন আহামরি কিছু করতে পারছে না তারা। অবশ্য বাংলাদেশের যে হালচাল, তাতে করে স্বাগতিক স্পিনারদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেও করতে পারে ভারত।
আর ব্যাটিংয়ের দিকটা সামলে দলের দুঃখ ঘোচাতে পারেন কিনা সালমা, সেটাও জানা যাবে রোববার সন্ধ্যা হওয়ার আগেই। আর জয় পেলে বিশ্বমঞ্চের প্রথম সফলতাও যেমন পাওয়া যাবে, তেমনই প্রতিশোধও নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ ২০১৪