সিলেট থেকে: ‘ব্যাট করবে নির্ভীকভাবে, এমনভাবে যেন কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এমনকি চাপের মধ্যে ভাব করবে যেন চাপ নেই, কারণ বোলাররা তোমাকে ব্যাটিং ক্রিজ ছাড়াতে সবসময় চেষ্টা করবে।
এবারের আসরে দলকে প্রথম জয় এনে দিতে ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনিংয়ে নেমে। ১২টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। দেখে মনে হতে পারে অনেক মারকুটে ব্যাটিং করেছেন। আসলে তা নয়, খেলেছেন বুঝেশুনে।
গত দুই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনার চাপ থাকা স্বাভাবিক। মিডল অর্ডার থেকে হঠাৎ ওপেনিংয়ে নেমেও দুশ্চিন্তার ধার ধারেননি এই ব্যাটার,‘যখন আপনি ভারতের হয়ে খেলেন, তখন দায়িত্বশীল থাকতে হয়। যতটা রিল্যাক্স থাকার কথা ছিল ততটা আমি ছিলাম না। কিন্তু পরে বুঝলাম এই ফরম্যাটকে উপভোগ না করতে পারলে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আপনি ভালো খেলতে পারবেন না। আজ কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই আমি খেলার চেষ্টা করেছিলাম এবং কাজ করেছে। ’
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হয় কৌরের। কিন্তু পাঞ্জাবের মোজার ছোট্ট শহর থেকে এই অবস্থানে উঠে আসা সহজ ছিল না। তবে কৌরের বিশ্বাস পথটা বন্ধুর ছিল না বলেই আজ ভালো খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন,‘আমার শহরে খুব বেশি সুবিধা ছিল না। কাছের একাডেমিই ছিল ৩০ কিলোমিটার দূরে। মাঝেমধ্যে বাস পাওয়া যেত না, তাই বাবা নিয়ে আসা যাওয়া করত। আমার কোচ যাদবিন্দর (সিং সাধু) স্যার বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। বাড়ি থেকে সেখানে যেতে অনেক সময় ব্যয় করতে হতো আমাকে। আর ওগুলোই আমাকে সহায়তা করেছে। ’
মাত্র ২৫ বছর বয়স, অভিষেকের পাঁচ বছরের মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মিতালি রাজের অনুপস্থিতিতে তাকেই নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল। ওই সিরিজে প্রমাণ করেছিলেন তার কাঁধেও দায়িত্ব দেওয়া যায়।
৩৯টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দুটি শতক ও সাতটি অর্ধশতক মারা এই ব্যাটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই মনোযোগী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ ২০১৪