সিলেট থেকে: অদেখা জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রানে জিতে এ গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে প্রথম পর্ব শেষ করল তারা।
সোমবার সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে আইরিশদের ১২০ রানের টার্গেট দিয়ে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয় সানা মীরের দল।
পাকিস্তান: ১১৯/৬ (২০ ওভার)
আয়ারল্যান্ড: ১০৫/১০ (১৯.৩ ওভার)
ফল: পাকিস্তান জয়ী ১৪ রানে
লক্ষ্যে নেমে অধিনায়ক ইসোবেল জয়েসের ব্যাটে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। বিশেষ করে ওপেনার ক্লেয়ার শিলিংটোনের সঙ্গে তার ৪৪ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল ভালোভাবেই। কিন্তু দলীয় ৬৬ রানে ইসোবেল (৩২) ইনিংস সেরা পারফরমেন্স করে আউট হলে আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি।
আসমাভিয়া ইকবাল ও সানা মীরের বোলিংয়ে তিন বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় তারা। আসমাভিয়া সবচেয়ে বেশি তিনটি উইকেট পান। দুটি নেন সানা। এছাড়া আনাম আমিন, কানিতা জলিল ও নিদা দার একটি করে উইকেট পান।
এর আগে পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপে আইরিশ অধিনায়ক ইসোবেলের প্রথম আঘাত আসে দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে। ওপেনার জাভেরিয়া খান সাজঘরে ফিরতে না ফিরতেই পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন লুইস ম্যাককার্থি। ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা দলকে টেনে তোলেন বিসমাহ মারুফ।
২২ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার চতুর্থ উইকেটে কানিতা জলিলকে নিয়ে ৩৬ রানের সেরা জুটি গড়েন। দুই রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত বিসমাহ ছিলেন দ্বিতীয় সেরা জুটি গড়ার কারিগর। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক সানা মিরকে নিয়ে গড়েন ৩০ রানের আরেকটি প্রতিরোধমূলক জুটি।
৪৮ রানে অপরাজিত থাকার পথে ৪৫ বল খেলে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান ম্যাচসেরা বিসমাহ। ৯৫ রানে পাঁচ উইকেট হারালে আসমাভিয়া ইকবালের সঙ্গে ২৪ রানের হার না মানা জুটি গড়েন তিনি।
কানিতা দ্বিতীয় সেরা ২০ রান করেন। ১৬ রানে আসে সানার ব্যাটে। নাইন আবিদি ১১ রান করেন।
ম্যাককার্থি ও ইসোবেল দুটি করে উইকেট পান।
আয়ারল্যান্ডকে এখনই দেশে ফিরতে হচ্ছে না। এ গ্রুপের পঞ্চম দল হিসেবে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তারা ৩ এপ্রিল লড়বে বি গ্রুপের শেষ দলকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ ২০১৪