জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম থেকে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩০তম ম্যাচে টসে হেরে লাসিথ মালিঙ্গার অধিনায়কত্বে শ্রীলঙ্কা ১৯.২ ওভার শেষে সব উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করেছে। সেমিফাইনালে যেতে হলে ১২০ রান করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।
কিউইদের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে আসেন মার্টিন গাপটিল এবং কেন উইলিয়ামসন। চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৮ রানের মাথায় গাপটিল রান আউট হয়ে ফিরে যান। কোন রান যোগ না হতেই শুন্যরানে ব্রেন্ডন ম্যাককালামও সাজঘরে ফিরে যান। আর পাঁচ রান যোগ হতে রস টেলর রঙ্গনা হেরাথের বলে এলবিডব্লিউ হলে কিউইরা চাপে পড়ে।
এই চাপ সামাল দেয়ার আগেই পরের বলে রঙ্গনা হেরাথ ফেরান জিমি নিশামকে। হেরাথ তার তৃতীয় ওভারে আক্রমনে এসে লুক রঞ্চিকে এলবির ফাঁদে ফেললে কিউইরা ২৯ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দলীয় ৩৩ রানে মিড-উইকেটে বল ঠেলে দিয়ে সেনানায়েকের বলে ম্যাথুজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাথান ম্যাককালাম। মাত্র ৩৩ রানেই কিউইদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩ রান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে লংকানদের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে এসেছিলেন তিলকরত্মে দিলশান এবং কুশল পেরেরা। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ২০ রানের মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটের পিছনে ধরা দেন কুশল পেরেরা। আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
গত ম্যাচ বাদ দিয়ে আবারো ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের (২৯৬) মালিক দিলশান। দিল-স্কুপ মারতে গিয়ে ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটের পিছনে লুক রঞ্চির হাতে ধরা দেন দিলশান (৮ রান)। দলের এই বিপর্যয়ে আর ৬ রান যোগ হতেই বোল্টের তৃতীয় শিকার হন কুমার সাঙ্গাকারা (৪ রান)।
৩৫ রানে তিন উইকেট হারালে দলের হাল ধরেন মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং লাহিরু থিরিমান্নে। আরো ৩০ রানের জুটি গড়ে জিমি নিশামের বলে ডিপ থার্ডম্যানে মার্টিন গাপটিলের তালুবন্দ্বি হন থিরিমান্নে। থিরিমান্নে আউট হওয়ার আগে করেন তিন চারে ১৮ বলে ২০ রান। দলীয় ৮১ রানে ম্যাকক্লেনাঘ্যানের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অ্যান্জেলো ম্যাথুজ। টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের (২৯৬) মালিক দিলশানকে এই ম্যাচে পাশ কাটানো (৩০১) মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।
শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ১৬ রান এবং সাচিত্রা সেনানায়েকের ১৭ রানের কল্যানে শ্রীলঙ্কা ১১৯ রান করে।
বেশকিছু রান আউট ও ক্যাচ আউটের সুযোগ মিস করেন কিউই খেলোয়াড়রা।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে লংকানরা করেছিল তিন উইকেটে ৩৫ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৫২ বলে। আর দলীয় শতক আসে ১০৬ বলে।
কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে লংকানদের প্রথম ৩ উইকেট তুলে নেন। জিমি নিশাম ২.২ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ম্যাকক্লেনাঘ্যান নেন দুই উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘন্টা, ৩১ মার্চ ২০১৪ আপডেট সময়: ২২০৪ ঘন্টা