সিলেট থেকে: ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ মেয়ে দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন এসেছিলেন পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণে। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির পরের তিন ম্যাচ শেষে আর সাংবাদিকদের সামনে দেখা দেননি তিনি।
এদিন বাংলাদেশের জয় ও নিজের জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই তাই আনন্দের মাত্রা অনেক বেশি। শুরুতেই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। প্রত্যুত্তরে,‘থ্যাংক ইউ’। ম্যাচ শেষে জয়ের উদযাপন তেমন হলো না। বাকি রেখেছিলেন হোটেল রুমে ফেরার অপেক্ষায়,‘অভূতপূর্ব উদযাপন হলো। ড্রেসিংরুমে এখনও আনন্দ উল্লাস হয়নি। আশা করি হোটেল রুমে ফিরে উদযাপন করব। ’
এদিন নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান জাহানারা। জন্মদিনে ষোলোকলা পূর্ণ করতে তাই মাঠেই উল্লাসে মেতে উঠলেন,‘আমি যখন প্রথম বলে উইকেট পেয়েছি তখনই উদযাপনটা করে নিয়েছি। আমি খুশি জন্মদিনে ভালো একটা ম্যাচ জিতলাম। এই আনন্দটা বলে বোঝাতে পারব না। ’
বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ স্কোর হলেও ১১৬ রানের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টির জন্য তেমন কঠিন না। এই লক্ষ্য দিয়েও জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল দলের,‘আমরা আগে থেকেই জানি আমাদের বোলিং ফিল্ডিং খুবই ভালো। আমাদের আশা ছিল একটু ভালোভাবে তাদের আটকে দিতে পারলে সফল হবো। আমাদের ইচ্ছাশক্তি ছিল, ভালো করেছি। সালমা ও পান্না খুবই ভালো বল করেছে। কিছু ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলাম, কিন্তু তাও ভালো খেলেই জিতেছি। ’
ম্যাচ মাঝের দিকে শ্রীলঙ্কার দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল। তাতেও হাল ছেড়ে দেয়নি দল,‘আমরা বল বাই বল ভালো খেলতে চেষ্টা করেছিলাম। আমরা কোনো চাপ নেইনি। ’
গ্রুপের শেষ ম্যাচে আকাঙ্ক্ষিত জয় এলেও পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করতে হলো বাংলাদেশকে। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও শ্রীলঙ্কার পরে তারা। এখন সামনে আছে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। ওই ম্যাচে জয়ের জন্যই খেলতে চায় জানালেন জাহানারা,‘আমরা আগেও বলেছিলাম প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমরা জয়ের জন্য নামি। তাদের হারাতে পারব কি না বা হারানো সম্ভব কি না এমন নিশ্চয়তা দিতে পারব না। কিন্তু বলব জেতার জন্যই মাঠে নামব। ব্যাট বল বলে দিবে কে জিতবে কে হারবে। ’
পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশের মেয়েদের ক্রিকেটীয় অগ্রযাত্রায় এটা বাধা হলো কি না জানাতে চাইলে ডানহাতি পেসার বলেন,‘২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো পরের কথা। আমরা বছরে কতটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেই তো বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া যায়। সেখানে উন্নতি করতে পারলে তো আমরা বিশ্বকাপে উঠব। তাই বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দরকার। ’
ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বাড়াতে ও উন্নতি করতে ঘরোয়া ম্যাচের চেয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের পক্ষে বললেন জাহানারা,‘অবশ্যই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা দরকার উন্নতি করতে। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে কখনওই ওই অভিজ্ঞতা হবে না। ম্যাচ বাই ম্যাচ সেটা আসবে। পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা খেলেছি। আমার মনে হয় আরও ভালো দলের সঙ্গে আমাদের খেলা উচিত। তবেই উন্নতি করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, ১ এপ্রিল ২০১৪