মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে: সেমিফাইনালের লক্ষ্যে টসে জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে ক্যারিবীয়রা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে আসেন ডোয়াইন স্মিথ এবং ক্রিস গেইল। দলীয় ১০ রানের মাথায় মোহাম্মদ হাফিজ ক্রিস গেইলকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। চতুর্থ ওভারে সোহেল তানভির ফেরান ডোয়াইন স্মিথকে। ব্যক্তিগত ৩১ রানে সিমন্স এবং ২০ রানে স্যামুয়েলস সাজঘরে ফিরলে ৬৭ রানের মাথায় চার উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ৮১ রানে রামদিন আউট হয়ে গেলে ৫ উইকেটের পতন ঘটে।
তবে এই বিপর্যয় থেকে দলের হাল ধরেন ডোয়াইন ব্রাভো এবং ড্যারেন স্যামি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রতিযোগীতায় নেমে ১৮তম ওভারে ২১ রান এবং ১৯তম ওভারে ২৪ রান তোলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হওয়ার আগে ব্রাভো করেন ২৬ বলে ২টি চার আর ৪টি ছয়ে ৪৬ রান। ড্যারেন স্যামি করেন ২০ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কায় হার না মানা ৪২ রান।
পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ২ উইকেটে ৩৯ রান আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪৭ বল থেকে দলীয় অর্ধশতক আসে। আর শতক আসে ৯৯ বলে।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। প্রথম বলেই আহমেদ শেহজাদ এবং দ্বিতীয় ওভারে কামরান আকমল ফিরে গেলে দুই ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৩ রান। দলীয় ৯ রানের মাথায় স্যামুয়েল বদ্রির বলে উমর আকমল স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। আবারো স্যামুয়েল বদ্রির বলে সোয়েব মালিক স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।
সাময়িক এই বিপর্যয় সামাল দিতে চেষ্টা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ এবং সোয়েব মাকসুদ। ২৪ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৩৭ রানে মোহাম্মদ হাফিজ অ্যান্ড্রু রাসেলের বলে ক্রিস গেইলের তালুবন্দ্বি হলে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। আর পাঁচ রান যোগ হতেই সোয়েব মাকসুদ সাজঘরে গেলে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
আফ্রিদির সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে ১২ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১৪ রান করে নারাইনের বলে মিডউইকেটে স্যামির হাতে ক্যাচ তুলে দেন সোহেল তানভীর। নারাইনের সেই ওভারেই স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন দুটি ছক্কা হাঁকানো শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিদির বিদায়ে জয়ের সুবাশ পেতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৭৮ রানে সাইদ আজমল অ্যান্ড্রু রাসেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হলে পাকিস্তান ৯ উইকেট হারায়। আর ৮২ রানে অল-আউট হলে ক্যারিবীয়রা জয় পায় ৮৪ রানের।
পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে মাত্র ১৩ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৭৫ বলে।
ক্যারিবীয় বোলার স্যামুয়েল বদ্রি ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আর সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘন্টা, ১ এপ্রিল ২০১৪