মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে: জয়ের জন্য ভারতকে রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৪ উইকেট খুইয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাটে নামা প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন লক্ষ্য করা যায়। প্রথম দিকে তাদের খানিকটা চাপেই রাখে ভারত। প্রথম ৫ ওভারে ৪৩ রান থাকলেও দুই উইকেট খোয়ানো প্রোটিয়াদের ১০ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ৬৬। তবে ১১তম ওভারে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। ১২ ওভার ৩ বলেই দলীয় রান শতকে পৌঁছে যায় তাদের। পরপর ডু প্লেসিস ও এবিডি ভিলিয়ার্সের উইকেট খুইয়ে ফের চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত ফাফ ডু-প্লেসিসের অর্ধশতক (৫৮), জেপি ডুমিনির ৪৫ ও ডেভিড মিলারের ২৩ রানের সুবাদে ১৭২ রানের লড়াকু স্কোর গড়তে সমর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে, ম্যাচের প্রথম ওভারেই ওপেনার কুইনটন ডি কককে (৬) হারালেও পরিস্থিতি সামলে নিয়ে রান তুলতে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হতে চায় অপর ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস ও হাশিম আমলার ব্যাট। তবে ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে আমলার (২২) স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন ঘূর্ণি জাদুকর রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আমলার বিদায়ে খানিকটা দেখে শুনে ব্যাট করেন ডু প্লেসিস ও ডুমিনিরা। তবে ১১তম ওভার থেকেই চড়াও হন দু’জন। অবশ্য দলীয় ১১৫ রানের মাথায় অশ্বিনের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল গায়ে লেগে স্ট্যাম্প ভাঙে বিপজ্জন কয়ে ওঠা ডু প্লেসিসের। তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় ব্যক্তিগত ৫৮ রানে। এরপর দলীয় ১২৯ রানে অশ্বিনের বলেই রোহিতকে ক্যাচ দিয়ে গ্লাভস-ব্যাট গোটাতে হয় এবিডি ভিলিয়ার্সকে (১০)।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের শিরোপা ঘরে নিতে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছে ফেবারিট ভারত ও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা।
সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ম্যাচে যারা জিতবে তারাই ৬ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনাল খেলার টিকিট পেয়ে যাবে।
** প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন
** পাল্টা চড়াও প্রোটিয়ারা
** ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং
** অশ্বিনের ঘূর্ণিতে উড়লো আমলার স্ট্যাম্প
** প্রথম ওভারেই ডি কককে ফেরালেন ভুবনেশ্বর
** টসে জিতে ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়ারা
** ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিফাইনাল সন্ধ্যায়
** ফাইনালে ভারত!
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৪